#বর্ধমান: উদ্বেগ বাড়ল বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের। ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ বর্ধমান শহরেই। এবার আক্রান্ত হলেন বর্ধমানের ছোটনীলপুর ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক মহারাজ। তাঁর লালারসের নমুনা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসতেই এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
আশপাশের কয়েকটি বাড়ি সহ পুরো আশ্রম চত্ত্বর কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। তার আশপাশ এলাকা বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলার প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
আশ্রম ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় ভক্তরা বিশেষ আনাগোনা না করলেও আশ্রমের আবাসিকদের যাতায়াত ছিল। কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন সন্ন্যাসী বর্ধমানের ছোট নীলপুরের এই আশ্রমে এসেছিলেন। তাঁরা সেখানে রাত কাটান। একসঙ্গে ভোগ গ্রহণও করেন। এরপর একান্ন বছর বয়সী ওই মহারাজের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।
তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তিনি করোনা আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। এরপরই তাঁকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে আর কারা এসেছিল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে রেখে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। অনেক আবাসিক পড়ুয়াও থাকেন ওই আশ্রমে। এলাকার বাসিন্দাদের খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদেরও অতি অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাস্তায়, বাজারে, বাসে, টোটোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহারাজ কয়েকদিন আগে শহরের ইছলাবাদ সহ কয়েকটি জায়গায় গিয়েছিলেন। ভাতারেও গিয়েছিলেন। সেসব জায়গায় তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।