#ভাঙড়: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। উত্তর গাজীপুরে সংঘর্ষ, গুলি-বোমাবাজি। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর। আরাবুল গোষ্ঠীর সঙ্গে জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির সংঘর্ষ। পোলেরহাট থেকে দুজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আরাবুল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। কিসমত নামে এক আন্দোলনকারীকে সকালে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে গাছের গুড়ি ফেলে খামারআইট ও নতুনহাটে রাস্তা অবরোধ করে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। দিনের শেষে থমথমে ভাঙড়। সংঘর্ষ, গুলি-বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে ফের ভাঙড়ে ফিরে এল মাস দু’য়েক আগের স্মৃতি ৷
কৃষিজমিতে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের বিরোধিতা করে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। জানুয়ারিতে টানা অবরোধে স্তব্ধ হয়ে যায় ভাঙড়ের জনজীবন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুজনের। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। শুক্রবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।
সকাল ৭
স্বরূপনগর গ্রাম থেকে কিসমত লস্কর নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। এই গ্রামেই ১৭ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আলমগির মোল্লার। খবর ছড়াতেই লাঠি, রড নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয় খামারআইট ও নতুনহাটে।
সকাল ৮.৩০
খবর রটে যায় আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর লোকজন নতুনহাট বাজার থেকে দুজনকে তুলে নিয়ে গেছে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। উত্তর গাজিপুরে আরাবুলের ডেরায় চড়াও হয় আন্দোলকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। সঙ্গে চলতে থাকে বোমা, গুলি ।
সতেরোই জানুয়ারি পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের।
১৮ দিন ধরে অব্যাহত ছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি ৷ টানা অবরোধ, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ ৷পাওয়ার সাবস্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ভাঙড়ে আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনজন ৷ তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয় ৷ মৃতদের নাম মফিজুল আলি খান (২৬), আলমগীর মোল্লা (২২) ৷ আহত আকবর আলি মোল্লার ডান হাতে গুলি লাগে ৷ তবে গুলি কে চালিয়েছে এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ৷ পুলিশের বক্তব্য, বহিরাগতরাই গুলি চালিয়েছে ৷ বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশই গুলি চালিয়েছে ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশের ১২টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং কিছু গাড়ি জলে ফেলা দেওয়া হয় ৷
ভাঙড়কাণ্ডে CPI(ML) রেড স্টারের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷