#কলকাতা: সব দিক থেকেই এ এক পারস্পরিক সম্পর্ক। কৃষক সারা বছর দেশের মানুষের পাতে তুলে দেবেন প্রয়োজনীয় খাদ্যসম্ভার, বিনিময়ে তাঁর খাওয়ার থালা আর ঘরও ভরে উঠবে স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু যেমনটা হওয়া উচিৎ, বাস্তবে সব সময়ে তা হয় না। এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে দেশের কৃষকদের একটা বড় অংশ বরাবরই অবহেলার শিকার, তাঁদের অভাব দিনশেষে একই রকম রয়ে যায়, কোনও সুরাহা হয় না। বিগত কয়েক বছরে সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকদের ক্ষোভ সে কথা ক্রমাগত সত্যে পরিণত করে চলেছে। এ রকম এক জায়গায় দেশের ক্ষুদ্র জোতদার এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক বছর হল কাজ শুরু করেছিল জার্মানির বেয়ার ক্রপ সায়েন্স সংস্থা। এ বার সেই সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল এই রাজ্যের কৃষকদের দিকে।
বেয়ার বাংলার কৃষকদের জন্য ঠিক কী করতে চলেছে, তা বলার আগে সংস্থার কাজ আর লক্ষ্য একটু ব্যাখ্যা করতে হয়। তাতেই পুরো ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বেয়ার বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সারা পৃথিবীতেই খাদ্যশস্য উৎপাদনে এক বিপ্লব আনতে চাইছে। নতুন নতুন প্রজাতির উন্নত মানের বীজ আবিষ্কার করে পর্যাপ্তেরও বেশি ফসল ফলানো, সেই সূত্র ধরে কৃষকদের উপার্জনে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসা-ই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বদরবারে সাড়া ফেলে দেওয়ার পর ভারতে সবার প্রথমে এই সংস্থা কাজ শুরু করেছিল উত্তর প্রদেশ আর ঝাড়খণ্ডে। এ বার সংস্থা কাজ শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার আর মধ্যপ্রদেশেও।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠক মারফত পশ্চিমবঙ্গে কী ভাবে কাজ করছে বেয়ার, সে নিয়ে এক বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে সংস্থার এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এই রাজ্যের বাঁকুড়া জেলায়, সেখানকার শময়িতা মঠের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃষি এবং কৃষকদের উন্নতিকল্পে কাজ শুরু করে দিয়েছে বেয়ার। শময়িতা মঠের সঙ্গে গাঁটছড়ার কারণ সুস্পষ্ট- বেয়ারের মতো এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও সংশ্লিষ্ট জেলার কৃষকদের স্বনির্ভরতা এবং বহুল ফলনের বিষয়টি নিয়ে বহু দিন ধরে কাজ করে আসছে।
এই গাঁটছড়া তাই দুই সংগঠনে পক্ষেই আনন্দদায়ক, যে কথা স্বীকার করেছেন মঠের প্রধান মাতা ঋষিঋদ্ধা অনাহতা। অন্য দিকে, প্রকল্পের অন্তর্গত এগ্রি-গ্র্যাজুয়েট ভাগীরথ পালেরও দাবি- বেয়ারের বেটার লাইফ ফার্মিং প্রকল্প তাঁর মতো অনেকের পক্ষেই লাভজনক সাব্যস্ত হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura