#বর্ধমান: কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। লক ডাউনে চালের জন্য দুশ্চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। দু একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বর্ধমানের রাইস মিলগুলিতে। উৎপাদন শুরু হলেই সেই চাল কলকাতা-সহ রাজ্যের সব প্রান্তে পৌঁছে যাবে। চালের ঘাটতি আর থাকবে না। লক ডাউনের জেরে রাইস মিলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কলকাতা সহ রাজ্যে চালের ঘাটতি দেখা দিচ্ছিল। কয়েক দিন পর চালের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন আশংকা করছিলেন অনেকেঈ। চালের উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখতে শুক্রবার বর্ধমানে জেলা শাসকের বাংলোয় রাইস মিল মালিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ঠিক হ্য়েছে খোলা থাকবে চালকলগুলি। অন্য জেলায় যাতে চাল পরিবহনে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করবে প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় চারশোরও বেশি রাইস মিল রয়েছে। কলকাতা তো বটেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা বর্ধমানের উৎকৃষ্ট চালের ওপর নির্ভরশীল। জঙ্গল মহল সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও গণবন্টন ব্যবস্থার চাল যায় এই জেলা থেকেই। লক ডাউনের জেরে রাইস মিলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালের সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন চালের যোগান ঠিক রাখতে রাইস মিলগুলিকে লক ডাউনের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক। তিনি বলেন, প্রশাসন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় চালের যোগান কমে এসেছিল। রাইস মিলগুলি চালু হলে সেই সমস্যা মিটে যাবে। মালদহ মুর্শিদাবাদ কলকাতা সহ জেলাগুলিতে চাল পাঠাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা প্রশাসন নিশ্চিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমরা চাই পূর্ব বর্ধমানের মতো সব জেলাতেই রাইস মিলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, রাইস মিল শ্রমিকদের সচেতন করা হবে। তাদের আতংকিত না হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হবে। তাদের মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। দূর থেকে যাওয়া কর্মীদের রাস্তায় যেতে যাতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে বিডিও এবং থানা তাদের পরিচয় পত্র দেবে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19, Lockdown