বর্ধমান: শিশুটির বয়স মাত্র ১৪ মাস। দেখা দিয়েছে প্রবল শ্বাসকষ্ট। প্রাণ বাঁচাতে তাকে নিয়ে আত্মীয় পরিজনরা গিয়েছিলেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। কিন্তু সেই শিশুকে দেখলেনই না চিকিৎসক। তাকে দেখাতে বলা হল আউটডোরে। কাকুতি মিনতি করাতে জুটল দুর্ব্যবহার। উপায়ন্তর না দেখে শিশুকে নিয়ে ছুটতে হল অন্য হাসপাতালে। কালনার বৈদ্যপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের ভূমিকায় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবাকে। মানবিক কারণেও কি তিনি দ্রুত শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতেন না ? প্রশ্ন বাসিন্দাদের।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১৪ মাসের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরও কর্তব্যরত ডাক্তার সেই শিশুর চিকিৎসা না করার অভিযোগ উঠল কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
ভুরকুণ্ডা গ্রামের শান্তনু ঘোষ তাঁর ১৪ মাসের শিশুকে নিয়ে এমারজেন্সিতে দেখাতে যান। অভিযোগ, কর্তব্যরত ডাক্তার অমিত মণ্ডল বলেন, '' আউটডোরে নিয়ে আসতে হবে। এমার্জেন্সিতে পেসেন্ট দেখব না।'' বহু অনুরোধ করার পরও ডাক্তারবাবু শিশুটিকে দেখেন নি। নিরুপায় হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা ওই শিশুকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখার পর ভর্তি করে নেন।
বাসিন্দাদের প্রশ্ন, নিয়ম তো হওয়া উচিত রোগীদের স্বার্থে। আউটডোরে দেখানোর পর প্রয়োজন মনে করলে চিকিৎসক রোগীকে ইন্ডোরে ভর্তি করতে বলেন। তাহলে আউটডোর বন্ধ হয়ে গেলে বা তার সময়সীমার পর কেউ গেলে তার চিকিৎসা হবে না? জরুরি বিভাগ তাহলে কিসের জন্য? একটা শিশু শ্বাসকষ্টে যখন চরম কষ্ট পাচ্ছে, তখন কোনটা জরুরি? তার চিকিৎসা শুরু করা? নাকি আউটডোরে অপেক্ষা করা?
অভিযুক্ত ডাক্তার অমিত মণ্ডলের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি মুখ খোলেন না। ওই শিশুর বাবা শান্তনু ঘোষ বলেন, ''শুধু ডাক্তারবাবু দেখেননি তাই নয়, আমাকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। ডাক্তার নার্স একযোগে বলেন, যেখানে খুশি অভিযোগ করতে পারেন। যা খুশি করে নিন।'' কালনা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দীপক কুমার বলেন, ''অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman