Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: পাকাপাকিভাবে সারা বছর বাহারি আলোয় সেজে থাকুক কার্জন গেট -এমনটাই চাইছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। উৎসবের মরসুমে বা বছরের বিশেষ বিশেষ সময় আলো দিয়ে সাজানো হয় কার্জন গেট। বছরের বাকি দিনগুলোতে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ঢাকা পড়ে বর্ধমানের এই ঐতিহ্যের তোরণ। তাই বিশেষ কোনও সময়ে নয়, সারা বছরই আলোকিত থাকুক তাঁদের প্রিয় এই স্থাপত্য-এমনটাই চাইছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা।
এ বার পুজোয় সবুজ মেরুন রঙে সেজে উঠেছিল বর্ধমানের ঐতিহাসিক কার্জনগেট। মোহনবাগানের আই লিগ জয়কে সেলিব্রেট করতে হাওড়া ব্রিজের মতো সবুজ মেরুন আলোয় কার্জন গেটকে সাজিয়ে তুলেছিল পূর্ব বর্ধমানের মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব মেরিনার্স। পুজোর মুখে কার্জন গেট আলোয় সেজে ওঠায় খুশি হয়েছিলেন বর্ধমানের বাসিন্দারাও। তাঁরা চাইছেন, এইভাবেই সারা বছর সেজে থাকুক কার্জন গেট।
১৯০৫ সালে বর্ধমানে আসেন বড়লাট লর্ড কার্জন। তাঁর সেই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে সুদৃশ্য এই তোরণ নির্মাণ করেন বর্ধমানের মহারাজ বিজয় চাঁদ মহাতাব। সুসজ্জিত হাতির পিঠে চড়ে এই গেট দিয়েই বর্ধমান রাজবাড়িতে পৌঁছেছিলেন বড়লাট লর্ড কার্জন। তাঁর নামেই এই তোরণের নাম হয় কার্জন গেট। স্বাধীনতার পর এই তোরণের নাম পরিবর্তন করা হয়। মহারাজ বিজয় চাঁদের নামে গেটের নাম হয় বিজয় তোরণ। কিন্তু কার্জন গেট নামেই এই তোরণ অধিক পরিচিত।
বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট। সন্ধ্যার পর এই চত্বরে ভিড় করেন অনেকেই। বাজার কেনাকাটা থেকে শুরু করে নানান প্রয়োজনে এই এলাকায় আসতে হয় সবাইকেই। বাসিন্দারা বলছেন, বর্ধমান উৎসবের সময় এই তোরণ আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। পাকাপাকিভাবে কার্জন গেট আলোকিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্ধমান পৌরসভা। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই সারা বছরই যাতে আবেগের এই কার্জন গেট আলোয় সেজে থাকে তার ব্যবস্থা করা হোক- চাইছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Curzon gate