#বর্ধমান: বর্ধমান শহরে ফের একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ২৫ জন। শহরের প্রায় সব প্রান্ত থেকেই করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আক্রান্তদের বর্ধমানের করোনা হাসপাতাল, কৃষি ভবনের সেফ হোম ও হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রায় নয় মাস পরও বর্ধমান শহরের করোনার সংক্রমণে লাগাম টানা না যাওয়ায় চিন্তিত বাসিন্দারা। জেলার মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি এই শহরেই। মৃত্যুর বেড়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তার ফলে চিন্তা বেড়েই চলেছে। শীত বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। শীতের হাত ধরে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন শীতের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে কিনা তা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ১৫ নভেম্বর এই শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তের জন। তারপর দিন তিন জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। 17 নভেম্বর ফের পনের জন করোনা আক্রান্ত হন। ১৮ নভেম্বর আরও ছাব্বিশ জন করোনায আক্রান্তের হদিশ মেলে। তারপর দিন ফের ন জন করোনা আক্রান্ত হন। ২০ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন চব্বিশ জন। তারপর দিন পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত চব্বিশ ঘন্টায় আরও পঁচিশ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এই শহরে।
শীতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। জাঁকিয়ে শীত পড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন এই শহরের বাসিন্দারা। শহরের বড়নীলপুর, ছোটনীলপুর, দুই তিন ও পাঁচ নম্বর ইছলাবাদ,সুভাষপল্লী,লোকো, খোসবাগান সহ বেশিরভাগ এলাকাতেই করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্তদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন। কে যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা বুঝে ওঠা মুশকিল। তাই বাসিন্দাদের উচিত সচেতন থাকা। ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি বাড়ির বাইরে পা দিলে মাস্ককে মুখ ঢাকা জরুরি। সেই সঙ্গে বারে বারে স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার করা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা প্রয়োজন।