কলকাতা : বারাসত পুরসভার ৩২ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। তার মধ্যে শরৎ কলোনি ও পূর্বাশার জলযন্ত্রণা নিত্য বছরের। অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দাদের।
২০১১ সালে তৃণমূল সরকার আসার পর হৃদয়পুর এলাকায় রাস্তা হয়েছে ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের। খানাখন্দহীন সেই রাস্তা বসতি বাড়ির জমি থেকে উঁচুতেই ৷ বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই রাস্তার রূপ সম্পূর্ণ পাল্টে যায় বর্ষাকালে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায় ৷ রাস্তা ছাপিয়ে সেই জল ঢুকে যায় ঘরের ভিতরে ৷ তার পর বেশ কয়েক দিন সহ্য করতে হয় জমা জলের যন্ত্রণা ৷
হৃদয়পুরের দুই ওয়ার্ডের জল বার হয় মধ্যগ্রাম পুর এলাকা দিয়ে। অভিযোগ, জমির ঢাল না মেনে নগরায়ন শুরু হয়েছিল বাম আমলে। আশির দশকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর হিসাবে স্বীকৃতি পায় বারাসত। শহরের আশেপাশের ধান জমি, মাঠ জুড়ে তৈরি হতে থাকে বাড়ি। শহর ছড়িয়ে পড়ে কালের নিয়মে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নগরায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনায় থেকে যায় ঘাটতি। আর তার জেরেই বছরের পর বছর বর্ষায় জলে ভাসে শরৎ কলোনি ও পূর্বাশা। প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমান ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর শ্যামলী দে-এর অভিযোগ, মধ্যমগ্রামের দিকে এলাকার নর্দমা বস্তা দিয়ে আটকে রাখার ফলে রাতভর বৃষ্টির জমা জল বার হতে পারেনি। তাঁর দাবি, মধ্যমগ্রাম পুর এলাকায় বস্তা দিয়ে নর্দমা বন্ধ রাখায় এই ভারী বর্ষায় বেড়েছে সমস্যা। বারাসতের পুর প্রশাসক সুনীল মুখার্জিকে বলে তিনি সেই সমস্যার সমাধান করেছেন দুপরে। কিন্তু এলাকার প্রতি বছরের জল জমার সমস্যার স্থায়ী সমাধান তাঁর জানা নেই। বিষয়টি আরও উচ্চস্তরে পরিকল্পনা না করা হলে মিলবে না কোন সমাধান, দাবি প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমান ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর শ্যামলীর।
এলাকাবাসী প্রমথরঞ্জন রায়ের অভিযোগ, বাম আমল থেকেই প্রতি বছর তাঁরা বর্ষায় জলবন্দি হয়ে পড়েন। প্রতিবছর অভিযোগ নিয়ে তাঁরা হাজির হন সরকারি দরবারে ৷ তবে সরকারি কর্তারা নাগরিকদের জন্য আজও কোন সমাধান নিয়ে আসতে পারেননি বলে তাঁর অভিযোগ। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা স্বপ্না দে-এর অভিযোগ, জমা জলে কাপড় তুলে যাতায়াত করে মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা করা কঠিন ৷
বারাসতের পুর প্রশাসক জানিয়েছেন, এলাকাবাসীদের অভিযোগ সত্য। তবে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করে নগরোন্নয়ন দপ্তরে কাছে যাবেন ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Barasat, Monsoon, Rain, Waterlogging