#পশ্চিম মেদিনীপুর: টিউশনে পড়ার অধিকার নেই। দোকানদাররাও মুখ ফেরাচ্ছেন। রাস্তা দিয়ে ওঁরা একবার গেলে সেই রাস্তা ভুলছেন গ্রামবাসীরা। পঃ মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে এহেন বৈষম্যের শিকার মুচি সম্প্রদায়ের ১৬টি পরিবার। নিদান চেয়ে জেলাশাসকের কাছে গেলেন তাঁরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
গ্রামে তাঁরা একঘরে। উত্সব-অনুষ্ঠানে যাওয়ার অধিকার হারিয়েছেন। তাঁদের দেখলেই ধারেকাছে ঘেঁসছেন না গ্রামবাসীরা। পঃ মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের দশরুই গ্রামের ছবিটা হঠাতই কেমন বদলে গিয়েছে ১৬ টি পরিবারের কাছে। ঘটনার সূত্রপাত তিন মাস আগে। গ্রামের শীতলাপুজোয় প্রতিবারের মতোই গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুজোয় নাকি মুচি সম্প্রদায়ের ঢুকতে মানা। এরকমই যুক্তি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয় মুচি পরিবারগুলিকে। জাতপাত বৈষম্যে হতবাক ভুক্তভোগীরা। গ্রামের মোড়ল-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ।
সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে উমা কারিগর। জাতিভেদের কারণ দেখিয়ে তাকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে শিক্ষার অধিকার থেকে। এধরণের বৈষম্য চলতে থাকলে কীভাবে চলবে পড়াশোনা? দুশ্চিন্তায় উমা।
যদিও এধরণের অভিযোগ মানতে নারাজ দশরুই পঞ্চায়েত প্রধান সুকুমার জানা। পুজোয় কোনও জাতিভেদের বিষয়ই নেই বলেই দাবি তাঁর।
নীচু জাতি নিয়ে কথা শুনতে শুনতে সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে মুচি সম্প্রদায়ের মানুষদের। জেলাশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে দায় সেরেছে প্রশাসন। কিন্তু এই শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এধরনের ভেদাভেদ কেন? উত্তর নেই মুচি পরিবারগুলির কাছে।