#ফরাক্কা: ডেথ সার্টিফিকেট (Death certificate) পেতে লাগবে এক হাজার টাকা। এমনই দাবি পঞ্চায়েতের এক কর্মীর। এই অভিযোগে পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে ফরাক্কা থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার বাবা গোপাল দাস। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফরাক্কার বেওয়া ১নং পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এমনই দাবি পঞ্চায়েত কর্মী শিলা মণ্ডল বিশ্বাসের।
অসুস্থতার কারণে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ফরাক্কার বাসিন্দা গোপাল দাসের মেয়ের মৃত্যু হয়। তার পরে গত ৮ মার্চ মেয়ে দীপ্তি দাসের ডেথ সার্টিফিকেটের (Death certificate)জন্য বেওয়া ১নং পঞ্চায়েতে আবেদন জানান তিনি। পঞ্চায়েতের এক কর্মী তাঁকে ২২ মার্চ আসার জন্য বলেন। তবে ডেথ সার্টিফিকেটটি একটু তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য বলতেই পঞ্চায়েতের এক মহিলা কর্মী তাঁর কাছে এক হাজার টাকা চান বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই মহিলা কর্মী শিলা মণ্ডল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ফরাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন- বিরল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত রূপসা! হুইল চেয়ারেই স্কুলের মুখ দেখছে বালিকা
ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফরাক্কার বেওয়া ১নং পঞ্চায়েতে। অভিযোগকারী গোপাল দাস বলেন, "আমার মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটটি একটু তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য বলতেই আমার কাছে এক হাজার টাকা চেয়েছিলেন ওই মহিলা কর্মী। আমি চাই তার বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক। সাধারণ মানুষ যাতে পঞ্চায়েত থেকে সঠিক পরিষেবা পায়।"
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এমনই দাবি পঞ্চায়েত কর্মী শিলা মণ্ডল বিশ্বাসের। তিনি বলেন, "নিয়ম মতো আবেদনের এক মাস পরেই তাঁকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। নিয়ম মতো তাঁর কাছে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ৫০ টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আর কোনও টাকা চাওয়া হয়নি। আমি ১৪ বছর ধরে এই পঞ্চায়েতে কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।" যদিও পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান কাজেম আলি মির্জা। তিনি বলেন, পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News