#হাওড়া: জঙ্গল থেকে সাপ ধরে পাচার করার আগেই এলাকার যুবকদের হাতে ধরা পড়লো দুই পাচারকারী। সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত আন্দুলের দক্ষিণ কামারাঙ্গু গ্রামের ঘটনা। এলাকায় দুই অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় তিন যুবকের। সন্দেহ হতেই তাদের পরিচয় জানতে চান তাঁরা। সেখানেই দুজনের দুই রকম কথা বার্তায় সন্দেহ আরও বাড়ে।
এর পরে দুই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় সাতটি সাপ। কেউটে, তুতুর, কালনাগিনী, লাউডগা ও বালিবোড়ার মতো সাপ। এলাকার যুবক লক্ষীকান্ত মাঝির দাবি, "দুই ব্যক্তিকে আমরা দেখতে পাই গ্রামের পরিত্যক্ত জায়গাগুলিতে ঘোরাঘুরি করতে। জিজ্ঞাসা করতেই তারা প্রথমে জানায়, তারা সাপ খেলা দেখতে এসেছে। কিন্তু তাদের আচরণ দেখে আমরা তাদের ব্যাগে কী আছে জানতে চাই, একজন একটি কাল নাগিনী বার করে দেখায়। এরপর একে একে ব্যাগ থেকে বেরোতে থাকে সাপের বাক্স।"
এলাকার আর এক যুবক অর্পণ দাস বলেন, "আমাদের সন্দেহ হয়, যখন দুই ব্যক্তি দাবি করেন তারা সাপ খেলা দেখতে এসেছেন। আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি যারা ঘুরে ঘুরে সাপ খেলা দেখান তাদের কাছে বিন ( এক ধরণের বেশি ) থাকে | এমনকি তাদের পোশাকও বিশেষ ধরণের হয় | সেই সন্দেহ থেকেই আমরা তাদের আটকে রাখি।"
আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচাতে উদ্যোগে কলকাতা পুরসভা! গরফার পরে বেহালার পুকুরে এবার জঞ্জাল সরিয়ে স্বচ্ছ জলএলাকার আর এক যুবক দুষ্টু দাস সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বনদফতরে | বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপ গুলো উদ্ধার করে এবং দুই পাচারকারীকে আটক। বন দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, সাপ খেলা দেখানো বা কোনো মানুষ তার নিজের কাছে রাখতে পারেন না । বন্যপ্রাণ আইনে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা সাপ গুলোকে উদ্ধার করেছি। প্রথমে তাদের সশরীরিক পরীক্ষা করা হবে। কারণ যে ভাবে সাপ গুলিকে রাখা হয়েছিল তাতে তারা শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সাপ গুলিকে দুর্বল করতে কোনও মেডিসিন ব্যবহার করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ও কাল নাগিনী বা লাউডগা সাপ বিদেশে মানুষজন বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িতে একুরিয়ামে রাখেন । ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে এরা দুজনেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West bengal