নারায়ণপুর: মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ছেলে, নিজেই থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে নারায়ণপুর থানায়। নারায়ণপুর এলাকার পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা ও তার মা লক্ষ্মী সাঁতরা, যার বয়স ৪৯ বছর, নারায়ণপুর পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকত। কয়েক মাস পর ছেলে সোমনাথ সাঁতরার কাজ চলে যায়। এরপর তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। সেই ভাবে কোনো কাজকর্ম করত না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটনে চলছিল পরিবারে।
এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী তাঁর সঙ্গে বাড়িতে থাকত না। অভিযোগ, মানসিক অবসাদে ভুগছিল সোমনাথ। ৪ এপ্রিল রাতে মায়ের সঙ্গে বিবাদ হয় সোমনাথ সাঁতরার। অভিযোগ এরপর মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। তারপর নিজেই নারায়ণপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করে সে।
আরও পড়ুন: ৭৫-২৫ হিসেবেই সমস্ত টাকা তোলা, ইডি-কে 'সব' জানিয়ে দিলেন অয়ন শীল! তদন্তে বিরাট মোড়
সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পেছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন নাকি অন্য কোন বিষয় রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার বাংলার বিজেপি নেতা! প্রতারণার উপায় জানলে চোখ কপালে উঠবে
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সোমবার দুপুরে ধৃত ছেলে সোমনাথ সাঁতরাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নারায়ণপুর পূর্বাচলের ২১ নম্বর লেনের বাড়িতে যায় নারায়নপুর থানার পুলিশ। পুনর্নির্মাণের জন্য জাপানি ডল ব্যবহার করা হয়। কীভাবে তার মা-কে হত্যা করেছে সোমনাথ, সমস্ত কিছুই পুনর্নির্মাণ করা হয়।
-----অনুপ চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।