বকখালি: দিঘা, মন্দারমণির বাইরে সমু্দ্র সৈকত মানে বাঙালির চেনা ঠিকানা ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ। কিন্তু বরাবরই বকখালি যেন দুয়োরানি হয়েছিল। বাম আমলে সেভাবে বকখালির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নজরই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছিল।
পরবর্তীতে বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বকখালি এবং সাগর দুটি ভ্রমণ স্থানের উন্নতির জন্য 'সাগর -বকখালি ডেভলপমেন্ট বোর্ড' তৈরি করে রাজ্য সরকার।তাতেও কোনও লাভ হয়নি বকখালির। রাজ্য সরকার বকখালির পর্যটনকে ঢেলে সাজাবার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কি হয়েছে?
আরও পড়ুন: হাজার হাজার বাঙালি গাজন সন্ন্যাসীর ভিড় উপচে পড়ছে ওড়িশার এই মন্দিরে
কখালিতে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াই মুশকিল। তৃণমূল নেতাদের শাসনে কেউ একটাও কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে শারীরিক ভাষায় স্থানীয়দের অধিকাংশই যে খুশি নন, সেটা পরিষ্কার। কারণ তাঁদের মধ্যে অনেকের জীবিকাই পর্যটকদের উপরে নির্ভরশীল৷ দিঘা, মন্দারমণিতে যেখানে বছরের অধিকাংশ সময়ই পর্যটকে গমগম করে, সেখানে বকখালি থাকে তুলনামূলক ফাঁকা৷ এতেই ক্ষোভ জন্মাচ্ছে এলাকার মানুষের মধ্যে৷
বকখালিতে দেখা গেল গাছে বাদুর ঝোলার মতো ল্যাম্পপোস্টের গোড়ায় ভাঙা সিসি ক্যামেরা ঝুলে রয়েছে৷ অন্যদিকে সমুদ্র সৈকতের আলো যত্রতত্র খারাপ অবস্থায় রয়েছে।ম য়লা ফেলার ডাস্টবিনগুলি খালি, অথচ চারপাশ নোংরায় ভর্তি। এই সমস্ত কিছুর জন্য সরকার থেকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো কোথায় খরচ হয়েছে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন: দিঘা-মন্দারমণি নয়, তৈরি হল নয়া 'টুরিস্ট ডেস্টিনেশন', সপ্তাহান্তে অবশ্যই ঘুরে আসুন
চড়া রোদ থেকে বাঁচতে সৈকতে ছাউনির প্রয়োজন হয়।সেটা কোথাও নেই। তটে বেশ কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পাতা রয়েছে । যেগুলির ঘণ্টায় দশ টাকা ভাড়া। অন্যদিকে দোকানের চেয়ারে বসতে গেলে,কিছু না খেলে কেউই বসতে দেয় না। ভ্রমণ স্থানের পরিষেবা বলতে সেরকম কোনও নজরদারি নেই। পর্যটকদের অভিযোগ, ফ্রেজারগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রের উপযুক্ত নকশা কিংবা গাইডলাইন নেই কোথাও। বেশ কিছু পর্যটক মন্তব্য করলেন, একবার কোনওমতে বকখালি আসা যায়।তারপরে আর আসতে মন চায় না তাঁদের।
এই বিষয়ে সাগর বকখালি ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র বলেন, 'বকখালিতে আমফান ইয়াসের দাপটে অনেক লাইট পোস্ট ভেঙেছে। পার্কিং জোন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামতির জন্য বিস্তারিত জানিয়ে একটি টেন্ডারের জন্য নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে ওই টাকার অনুমোদন হয়নি। তবে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ওই জায়গা দেখে এসেছেন , খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bakkhali, South 24 Parganas