#আরামবাগ: তৃতীয় দফা ভোট শুরু হতেই দিকে-দিকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলতে শুরু করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে হুগলি, হাওড়া সর্বত্রই তৃণমূল-বিজেপি অশান্তি, এমনকী রক্তারক্তি কাণ্ডেরও খবরও মিলছে। একদিকে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থী যেমন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, তেমনি হুগলির আরামবাগে তৃণমূল নেতার গাড়িতে ‘হামলা’র অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গৌরহাতির শুভয়পুরে তৃণমূল ব্লক সভাপতির গাড়ি দেখা মাত্রই তার উপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। চোটও পান তৃণমূল নেতা। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এজেন্ট বসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায়। ঘটনায় উভয় পক্ষের দুজনের মাথা ফেটেছে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার ৪৭ এবং ৪৮ নম্বর বুথে এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় বোমাবাজি ও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় উভয় পক্ষের দুজনের মাথা ফেটে যায়। তাঁদের নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
অপরদিকে, এক মহিলার কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হুগলির তারকেশ্বরে। সেখানে বিজেপি সমর্থক ওই মহিলার কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী মহিলার দোকান ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনার ইতিমধ্যেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাতগাছিয়া বিধানসভার ১ নম্বর নোয়াখালি থানা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।