#ডায়মন্ড হারবার: বঙ্গ দখলের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। আর সেই হিংসা থেকে বাদ যাচ্ছেন না ভোটপ্রার্থীরাও। অশোক দিন্দা, শুভ্রাংশু রায়, রাজ চক্রবর্তী সহ একাধিক ভোটপ্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ভোট বঙ্গে। আর এবার আক্রান্ত হলেন ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার। এদিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি সভা আছে, সেদিনই দীপক হালদারের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
বিজেপির দাবি, দীপক হালদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বিজেপির আরও দশ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর। ঘটনার পরপরই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।
বিজেপির অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারের হরিদেবপুর অঞ্চলে প্রচার চালানোর সময় দীপক হালদারের উপর লাঠি, ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন দীপক। আর ঠিক ভোটের মাঝে তাঁর উপর হামলায় ডায়মন্ড হারবার এলাকায় নতুন করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার গতবার ডায়মন্ড হারবার আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের কয়েকদিন আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক স্পিড পোস্টে চিঠি দিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন নাম লেখান বিজেপিতে। ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী বিধায়ক দীপকবাবু। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর কাছে স্পিড পোস্টে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন দীপক হালদার। এবার তাঁর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে শোরগোল পড়েছে।