#বর্ধমান: টিউবওয়েলের জল খাচ্ছেন? ভাবছেন মাটির গভীরের এই জল পরিশ্রুত। আপনি কি জানেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে চলা সেই টিউবয়েলের জল স্বাস্থ্যসম্মত নাও হতে পারে? শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই পাঁচশ'র বেশি নলকূপকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই নলকূপগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই নলকূপগুলির জলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে।সে কারণেই ওই টিউবওয়েলগুলি ব্যবহারের অনুপযুক্ত ঘোষণা করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই নলকূপগুলি এখন শোধন করার কাজ চলছে। এর পর ফের সেই নলকূপের জল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। সেগুলি ব্যাকটেরিয়ামুক্ত এমন রিপোর্ট আসার পরই ফের ব্যবহারের জন্য সেগুলি খুলে দেওয়া হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় শহর এলাকায় বাসিন্দারা পুরসভার সরবরাহ করা পাইপলাইনের জলের ওপর নির্ভরশীল। অনেকের বাড়িতেই সাবমারসিবল পাম্প রয়েছে। মাটির গভীর থেকে সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেক গ্রামীণ এলাকাতেও পানীয় জল প্রকল্প চালু হয়েছে। সেখানেও পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বহু বাসিন্দা অগভীর নলকূপের উপর নির্ভরশীল।
সেই অগভীর নলকূপ জল কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে ব্যাপারে সমীক্ষা চালিয়েছিল জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। তাতেই পাঁচশোরও বেশি নলকূপকে আন সেফ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই নলকূপগুলি সিল করে দিয়ে শোধন করার কাজ চালানো হচ্ছে।
বর্ধমান জেলার মোট ১৯৪৭ টিউবয়েল থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনা জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা ল্যাবরেটরি এবং আটটি সাব ডিস্ট্রিক্ট ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় ১৩৮৯ টি নলকূপের জল ব্যবহারের উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেও ৫৫৮টি টিউবয়েলকে আনসেফ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনিতেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্বস্থলীর বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটির তলার জল আর্সেনিক প্রবণ। এই এলাকায় মাটির তলার জল পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এবার বাকি অংশের জলও পরীক্ষা করে ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিল।
Saradindu Ghosh