#বোলপুর: রাজ্যে শাসক দলের একের পর এক নেতার নাম দলবদলের বাজারে হাওয়ায় ভাসছে৷ তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ, মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক- তালিকায় কে নেই? অনেকেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, কেউ কেউ অপেক্ষায়৷ কিন্তু মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদ না হয়েও তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ বলা ভাল, শাসক দলের অনেক পদাধিকারীর থেকেও শুধুমাত্র জেলা সভাপতি হয়ে তাঁর দাপট অনেক বেশি৷ সৌজন্যে তাঁর উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবিড় আস্থা৷
কিন্তু এ হেন অনুব্রত মণ্ডলকে যদি দলবদলের অফার দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কী করবেন? সরাসরি এই প্রশ্নই করা হয়েছিল তৃণমূলনেত্রীর প্রিয় কেষ্ট মণ্ডলকে৷ জবাবে অনুব্রত খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, যেখানে আছেন, সেখানেই থাকতে চান৷
নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দলবদলের প্রস্তাব সম্পর্কে অনুব্রত বলেন, 'আমি ক্ষমা চেয়ে বলব ভাই আমি যেখানে আছি সেখানে থাকতে চাই৷ জীবনে কোনও দিন দল বদল করিনি৷ প্রথম থেকে কংগ্রেস করেছি৷ প্রদ্যুৎ গুহ যখন যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট তখন আমি রাজ্যে যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম৷ কংগ্রেসের নীতি থেকে যখন দিদি সরে এল, দিদির কাছে আছি৷ আমাকে অফার দিলেও আমি যাব না, মোটা ভাত- মোটা কাপড় পেলেই হবে৷ আর সবার আশীর্বাদ পেলেই হবে৷'
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথারীতি নিজের মেজাজেই রয়েছেন আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত৷ রাজ্যে বিজেপি-র দাপট বাড়ছে মেনে নিতেও রাজি নন তিনি৷ উল্টে তাঁর সওয়াল, ২০১৯-এ লোকসবা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জেতায় তৃণমূলের মঙ্গল হয়েছে৷ কারণ তা তৃণমূল কর্মীদের ভুল, ত্রুটি শুধরে আরও সক্রিয় করে তুলেছে৷ জোর গলায় অনুব্রতর দাবি, ২২০ থেকে ২৩০টি আসন দখল করে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল৷ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-তে যোগদানকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি৷
মাত্র দু' দিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় নাম না করেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন৷ অনুব্রতর অবশ্য দাবি, শতাব্দীর সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা নেই৷ বরং শতাব্দী নিজের বিধানসভা এলাকায় নিয়মিত যান বলে তাঁর প্রশংসাই করেছেন অনুব্রত৷ নিজেকে দলের 'কর্মী' বলে অভিহিৎ করা অনুব্রতর সাফ কথা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও কাছে দাসখত দিইনি৷ নেত্রীকে আমি সবকথা বলি৷'
বার বার অনুব্রতর প্রতি তাঁর আস্থার কথা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ বীরভূমের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কের অভিযোগ উঠলেও পাশে থেকেছেন মমতা৷ চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানো, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর নিদান দেওয়া অনুব্রত এবারও ভোটের আগে ঠেঙিয়ে পগার পার করার নিদান দিয়েছেন৷ তাঁর অবশ্য, এটি নেহতাই গ্রাম্য কথা৷ তৃণমূলের প্রতি অনুগত অনুব্রতর কথায়, 'নিজের পরিবারের মতোই দলটাকে ভালবাসি৷'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anubrata Mondal, BJP, TMC