#গঙ্গাসাগর: গঙ্গাসাগরে পরিবর্তন যাত্রায় এসে বাংলার পবিত্র এই তীর্থভূমিকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র বানানোর আশ্বাস দিলেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, এবার নির্বাচনে পালাবদল হবেই। সরকারি কর্মী থেকে মৎস্যজীবী, নানা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি থাকল শাহের মুখে।
এ দিন সভার শুরুতেইই আলাদা করে অমিত শাহ শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেন। বললেন, তাঁরাই দলে নতুন শক্তি দিয়েছে। ঘোষণা করলেন মৎস্যজীবী সম্মান নিধির, ক্ষমতা এলেই মাছ ব্যবসায়ীদের অর্থসাহায্য দেওয়ার কথা বললেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ আজ এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন প্রাক পরিবর্তন যাত্রা সভা থেকে। তিনি বলেন, "বাংলার সরকারি কর্মচারি সপ্তম কমিশনের নিরিখে বেতন পায় না।" বিজেপি সরকার এলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি চার লক্ষ মৎস্যজীবীকে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। শাহী আশ্বাস, এর জন্য আলাদা মন্ত্রালয় তৈরি হবে। আমফান নিয়ে তদন্ত হবে বলেও জানালেন অমিত শাহ।
আজ কাকদ্বীপে পরিবর্তন যাত্রায় সূচনায় এসে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগরকে ঢেলে সাজানো হবে। সারা বিশ্বে গঙ্গাসাগরের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। পুনর্নিমাণ করা হবে এখানকার মন্দিরের। সংক্রান্তির মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত করা হবে, এমনটাই আশ্বাস শাহের। অমিত শাহ এদিন বলছিলেন, "ভারতের পশ্চিমে আমার জন্ম, আজ পূর্বে যেখানে গঙ্গাসাগরে মিশেছে, তা দেখতে পেলাম তা আমার জন্য আনন্দের, গর্বের।" কোচবিহারে ঠিক যেমন মদনমোহন জিউর মন্দির হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, তেমনটাই এদিন পাখির চোখ ছিল গঙ্গাসাগর। আর প্রতিশ্রুতি সেই একটাই, পাঁচ বছরে সোনার বাংলা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় আজ পরিবর্তন যাত্রার পঞ্চম ধাপ। সেখান থেকেই শাহ বলেন, ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই যাবে তাঁর রথ। অমিত শাহের ব্যখ্যা, এই পরিবর্তন যাত্রাই আনবে রাজ্যে পরিবর্তন। উপড়ে ফেলা হবে তৃণমূল সরকার। কথায় কথায় এদিন শাহ নাম করে বিঁধলেন সিন্ডিকেটকে। একই রকম ভাবে, অভিযোগ করলেন চালচুরির। ডাক দিলেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। শুধু বিজেপি আনাই নয়, বাংলার মা বোনের অবস্থা পরিবর্তনই লক্ষ্য, বললেন অমিত শাহ।
কী ধরনের পরিবর্তন ? অমিত শাহ বলছেন, আদিবাসীদের যাতে কাটমানি না দিতে হয়, কৃষক যাতে ফসলের ন্যয্য দাম পায়, যাতে দুর্গাপুজা, রামনবমী পালিত করতে পারে সাধারণ মানুষ, তা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। তাঁর যুক্তি বাংলায় যতদিন মমতা সরকার থাকবে ততদিন কাজ হবে না। সোনার বাংলা বানাতে চাই ডবল ইঞ্জিন সরকার।
উল্লেখ্য শাহের সভায় কালো পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন কয়েকজন মহিলা। সভার শুরুতে কিছুটা তাল কাটে সেই কারণেই। ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরেন শাহ।