#কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। বিজেপি তাঁকে তুমুল গুরুত্ব দিচ্ছে, প্রমাণ মিলেছে প্রথম দিনেই। যোগদান মঞ্চে তাঁর আসন ছিল অমিত শাহর পাশেই। অমিত শাহ তাঁকে ভাই বলে সম্বোধন করেন। আগামিকাল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে শাহের সভাতেও শাহের পাশে থাকছেন শুভেন্দু। অনুব্রতর এলাকায় শুভেন্দুকে নিয়ে যাওয়ার অর্থ, সরাসরি শুভেন্দু-অনুব্রত যুদ্ধ ঘোষণা, এমনটাই মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আগামিকাল অমিত শাহ বিনয় ভবনের প্যারেড গ্রাউন্ডে নামবেন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। প্রথমে বাংলাদেশ ভবনে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎকার রয়েছে তাঁর। তারপরে ঘুরে দেখবেন বিশ্বভারতী চত্বর। কথা বলবেন শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের সঙ্গে। এর পরেই বাউল গায়ক বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে তাঁর দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেছেন। দুপুরে সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সেড়ে তিনি সরাসরি চলে যাবেন হনুমান মন্দিরে। সেখান থেকে যাবেন বোলপুরের ডাকবাংলো ময়দানে । সূত্রের খবর বোলপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তাঁর পদযাত্রা করার কথা রয়েছে। বোলপুর চৌরাস্তায় পদযাত্রা শেষ হওয়ার পর, সেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন অমিত শাহ, পরে তিনি চলে যাবেন বোলপুরের একটি বেসরকারী রিসোর্টে। সেখানে ঘণ্টাখানেকের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করে অন্ডাল এয়ারপোর্ট থেকে আবারও দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এই গোটা সফরটাতেই তাঁর সঙ্গে সঙ্গ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী।
২১ বছরের দলীয় সদস্য রাতারাতি অপরজন হয়ে গেলেন। লড়াকু সংগঠক শুভেন্দুকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নম্বরই দিচ্ছেন না অনু্ব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, আগে ঢাক বাজুক।