#নামখানা: কৃষি আইন নিয়ে দেশের রাজধানীর সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন এখনও জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। অথচ কেন্দ্রের 'কিষান নিধি সম্মান'কেই বাংলার ভোটে ডিভিডেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। আর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহের নজরে এবার পড়লেন বাংলার মৎস্যজীবীরা। এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই কৃষকদের মতোই মৎস্যজীবীদের অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিত শাহ। বাংলার ৪ লাখ মৎস্যজীবী এই সুবিধার আওতায় আসবে বলে এদিন হিসেব কষে শুনিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মৎস্যজীবী সম্মান নিধি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি, মাছের বিক্রি বাড়ানোর জন্য মন্ত্রকও তৈরি করা হবে বলেছেন শাহ।
তবে, শুধু মৎস্যজীবীরা নন, ওই অঞ্চলের কোনও মানুষকেই বঞ্চিত করা হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলেই ওই এলাকায় গড়ে তোলা হবে সি ফুড প্রসেসিং হাব। আন্তর্জাতিক চেহারা দেওয়া হবে গর্বের গঙ্গাসাগরকেও। এদিন একেবারে ভোটের অঙ্ক কষেই অমিত শাহ গিয়েছিলেন নামখানার নারায়ণপুরের গ্রামে। এটি একেবারেই মৎস্যজীবী পেশাদারদের গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক মাছ বিক্রেতা সুব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন তিনি। সুব্রতর স্ত্রী অর্চনা পরিচারিকার কাজ করেন। অতিথিসেবার এমন সুযোগ পেয়ে খুশি বিশ্বাস পরিবার।তবে, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি এই জেলায় বিজেপি কতটা দাঁত ফোটাতে পারবে তা জানতে ভোটের ফল পর্যন্ত অপেক্ষা। যদিও মৎস্যজীবী-নারায়ণপুরের গ্রামের মানুষেরা এদিন অমিত শাহকে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। খেটে খাওয়া পরিবারগুলির আর্থিক পরিস্থিতির বদল হবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। রাজ্যে বিজেপি যে বিকল্প শক্তি হিসেবে অনেকটাই উত্থান করেছে তা বলে দেয় নারায়ণপুরের স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের ভিড়। জনসংযোগে মন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও। মহিলাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, সেলফি তুলে জনসংযোগ বৃদ্ধি করেন অমিত শাহ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
এদিন অমিত শাহকে দেখতে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। চোখে পড়ার মতো ছিল মহিলাদের উপস্থিতিতে। এর পর নারায়ণপুর থেকে শ্মশানকালীর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। অমিত শাহের নিরাপত্তার জন্য বিশাল সংখ্যক বাহিনীর বেষ্টনীও ছিল নজরকাড়া।