#নদিয়া: পঞ্চায়েত সেক্রেটারিকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে তাকে অন্ধকারে রেখে, প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার দরপত্র নিয়ে দলের অন্দরেই দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান।নদিয়ার চাকদহ ব্লকের সিলিন্দা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মী তথা সেক্রেটারি এই দরপত্র নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে, তাকে রোষের মুখে পড়তে হয়।
পুলিশ পাহারায় মধ্যে দিয়ে কাজ করছেন ওই সরকারি কর্মী সরিয়াততুল্লা আহমেদ।তৃণমূল নেত্রী যেখানে বারবার বলেছেন দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না,সেখানে দলের কর্মী হয়ে সিলিন্দা এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীনা হালদারের নামে দূর্নীতির অভিযোগ আনলেন উপপ্রধান রুণা বিশ্বাস। ফেব্রুয়ারি মাসের পর পঞ্চায়েতের কাজের ক্ষেত্রে কোন দরপত্র ডাকেননি প্রধান। এই নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। হঠাৎ করে দলের অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই গোপনে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়। কার্যত সেক্রেটারিকে না জানিয়েই এই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আসতেই তিনি সেই দরপত্র খুলে রাখেন বাধ্য হয়েই। এরপর হুমকির মুখে পড়তে হয় ওই সেক্রেটারিকে।তিনি জানান, দরপত্র ডাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তাকে সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে রেখে পুরনো তারিখ দেখিয়ে টেন্ডার করা হয়েছে।তিনি আরো জানান,তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অফিসে কাজ করতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশি প্রহরায় মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েতের কাজ করতে হচ্ছে।প্রধান রিনা হালদার জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তিনি সঠিক নিয়মেই কাজ করেছেন। উপপ্রধান রুণা বিশ্বাস দল বিরোধী কাজ করছেন। সেক্রেটারির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে। কারণ সেক্রেটারি সম্পূর্ণ ভাবে একজন লোভী মানুষ। তাই সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন উপপ্রধান।অন্যদিকে উপপ্রধানের অভিযোগ, প্রধান আমাদের সঙ্গে নিয়ে কোন আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে কাজ করেন না। এই টেন্ডারের ক্ষেত্রে তিনি বাড়িতে পঞ্চায়েতের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে টেন্ডার করেছেন। যেটা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ।
এ ব্যাপারে কোথাও লিখিত অভিযোগ না হলেও মৌখিকভাবে চাকদহ বিডিও-কে জানানো হয় বলে জানান পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি।যদিও পঞ্চায়েতের এই টেন্ডার প্রসঙ্গ নিয়ে চাকদহের বিডিও কোন কথা বলতে চাননি। Ranjit Sarkar