#বর্ধমান: পারিবারিক অলঙ্কার,সোনার গয়না বাড়িতে রাখলে চুরি ডাকাতির আশঙ্কা। বহুমূল্যের সে সব সামগ্রী তাই ব্যাঙ্কের লকারে রাখার শ্রেয় মনে করেন অনেকেই। কিন্তু সেই ব্যাঙ্কের লকারও কি নিরাপদ নয়! এমনই আশঙ্কার সামনে বাসিন্দাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বর্ধমানের একটি ঘটনা।এই শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি শাখায় এক আমজনতার ব্যাঙ্কের লকার থেকে যাবতীয় সোনার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছ বর্ধমান থানার পুলিশ।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখার গ্রাহক পবিত্র কুমার সামন্ত দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন।তিনি শেষবারের জন্য লকারটি ব্যবহার করেন দু বছর আগে গত ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর। গত ১৫ অক্টোবর ব্যাঙ্ক থেকে একটি চিঠি আসে।সেই চিঠি তাঁর পুত্রবধূ রিসিভ করেন।পরে তিনি বাড়ি ফিরে চিঠি খুলে জানতে পারেন ব্যাঙ্ক লকারের ব্যাপারে তঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।তিনি তৎক্ষনাৎ ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখায় যান।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে জানান, তাঁর লকারটি খোলা অবস্থায় আছে। ভেতরে কিছু নেই। লকার ফাঁকা। তিনি ভুলবশত লকার খুলে গেছেন কিনা তা তিনি জানতে চান।পবিত্র বাবু জানান, তাঁর লকারে ৬০ থেকে ৭০ ভরি পারিবারিক গহনা ছিল।কি করে লকার খোলা থাকতে পারে।এরপর তিনি এই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে বর্ধমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্কের এক বা একাধিক ব্যক্তির যোগসাযোগেই এই ঘটনা ঘটেছে। ব্যাঙ্কের লকারটি লক ভাঙা ছিলো বলে তাঁর অভিযোগ।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।যদিও এই বিষয়ে ওই ব্যাঙ্কের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। লকারের সি সি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। তাতে তদন্তের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।