#নদিয়া: নদিয়ার হরিণঘাটায় ডেঙ্গির থাবা, প্রায় ৩০০ জন জ্বরে আক্রান্ত! ১৩০ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। মূলত নগরখউরা ১ ও ২ পঞ্চায়েত ও ফতেপুরে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। মল্লাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গি।
ফতেপুরে মেডিকেল ক্যাম্প তৈরি হয়েছে, সেখানেই জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার, স্প্রে করা হচ্ছে মশা মারার ওষুধ। চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হরিণঘাটার ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি! স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, হাবড়া, গাইঘাটা, অশোকনগর, বারাসত, ব্যারাকপুর - এই ৫ জায়গায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের কাছাকাছি। অশোকনগর ও হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক, নার্স পাঠানো হয়। এক বছর আগেও হাবড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তেষট্টি জন। এবছর সংখ্যাটা আরও বাড়ল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখন তৎপরতা দেখালেও এতদিন এলাকা পরিষ্কার রাখতে প্রশাসন কিছুই করেনি। তবে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলছেন, নিয়ম করে এলাকা পরিষ্কার হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বাসিন্দারাই সচেতন নন। রাস্তার পাশে এদিক ওদিক নিকাশিনালায় জমা জল। তাতে মশার লার্ভার সংসার। এখানে ওখানে আবর্জনা ছড়িয়ে। এই ছবি হাবড়ার বিভিন্ন এলাকার। জঞ্জাল জমে বিভিন্ন জায়গায়।
শুধু রাস্তার পাশের নয়, রেললাইনের ধারের নিকাশিনালাতেও জমেছে প্লাস্টিক। সেসব পরিষ্কারেরও বালাই নেই। হাবড়া পুর ও গ্রামীণ দুই এলাকাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের চাপ। গত বছরেও হাবড়ায় তেষট্টি জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখন পুরসভা এলাকা পরিষ্কার রাখতে পদক্ষেপ করছে ঠিকই। তবে গত বছরের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেই কাজ করা উচিৎ ছিল পুরসভার।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবি, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত কাজ করা হয়েছে। বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবেই মশার বাড়বাড়ন্ত। ২৪টি ওয়ার্ডে সাফাইয়ের কাজে বেসরকারি ঠিকাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একদিন মশার লার্ভা মারার স্প্রে করা হচ্ছে। নিয়ম করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়া হয়। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা মশার লার্ভা খোঁজার কাজ করছেন। হাবড়ার বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে