#বর্ধমান: দেখতে দেখতে মহালয়া পার। এখনও করোনার সংক্রমণ না থামায় চিন্তিত পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, চৈত্র মাস থেকে করোনার আতঙ্কে দিন কাটছে। ভাদ্র মাস শেষ হলেও সেই উদ্বেগের এখনও কোনও কমতি নেই। এখনও মুখে মাস্ক বেঁধে বাইরে বের হতে হচ্ছে। বারবার হাতে ঘষতে হচ্ছে স্যানিটাইজার। তাঁরা বলছেন, মহালয়া এসে যাওয়া মানেই মা দুর্গার পুজো শুরু হয়ে যাওয়া। অনেক দুর্গা দালানেই মায়ের প্রতিমা এসে গিয়েছে। তবুও করোনার সংক্রমণ না কমার বিষয়টি চিন্তায় রেখেছে সকলকেই।
করোনার পরিস্থিতির কারণে এবার এখনও পুজোর বাজার শুরু হয়নি সেভাবে। ভাদ্র সংক্রান্তিতে মহালয়া পড়ায় এবার দুর্গা পূজা শুরু হতে এখনও মাসখানেকের অপেক্ষা। আর সেই বিষয়টিই এখন স্বস্তি দিচ্ছে অনেককেই। তাঁরা বলছেন, আগামী পাঁচ সপ্তাহে হয়তো অনেকটাই কমে আসবে করোনার প্রকোপ। একেবারে করোনা বিদায় নিতে হয়ত এখনও অনেকটাই দেরি। তাই নিউ নর্মালের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলবে পুজোর বাজার থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি।
এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭০৬ জন। তার মধ্যে সেরে উঠেছেন ৩২২৫ জন। ৪২৯ জন এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় এই জেলায় ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে বর্ধমান পৌরসভা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। কাটোয়া পুরসভা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচজন। কালনা পৌরসভা এলাকাতেও দু’জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়া বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে একজন ও বর্ধমান দু'নম্বর ব্লকে দু’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভাতার ব্লকে তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গলসিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু'জন। কালনা দু নম্বর ব্লকে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা এক নম্বর ব্লককেও একজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কাটোয়া এক নম্বর ব্লকে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকের আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। খণ্ডঘোষ ব্লকের চার জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে এছাড়া মন্তেশ্বরে দুজন ও পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
Saradindu Ghosh