হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
ছেলের সামনেই স্বামীকে মাটি চাপা, নিশ্চিন্তে প্রেমিককে নিয়ে ঘুমিয়েছিল স্বপ্না

ছেলের সামনেই স্বামীকে মাটি চাপা, কাজ সেরে নিশ্চিন্তে প্রেমিককে নিয়ে ঘুমিয়েছিল স্বপ্না

প্রেমিক সুজিত দাস ও স্বপ্না সরকার৷

প্রেমিক সুজিত দাস ও স্বপ্না সরকার৷

বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার গাইঘাটার গোয়ালবাতানে সুজিত দাস নামে ওই যুবকের ঘরের ভিতর থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় রামকৃষ্ণ সরকারের দেহ৷

  • Last Updated :
  • Share this:

#গাইঘাটা: তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সুজিতের৷ জেনে ফেলেছিলেন বনগাঁর বাসিন্দা রামকৃষ্ণ সরকার৷ মদ্যপানের আসরে রামকৃষ্ণই প্রথম তার উপরে হামলা চালায় বলে দাবি গাইঘাটা হত্যাকাণ্ডে ধৃত সুজিত দাসের৷ পাল্টা তার মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণের৷ আদালতে যাওয়ার পথে এ দিন নিজের মুখেই গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে অভিযুক্ত সুজিত দাস৷

বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার গাইঘাটার গোয়ালবাতানে সুজিত দাস নামে ওই যুবকের ঘরের ভিতর থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় রামকৃষ্ণ সরকারের দেহ৷ দু' জনে বন্ধু হলেও রামকৃষ্ণের স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুজিত৷ সেই টানাপোড়েনের জেরেই খুন হতে হয়েছে রামকৃষ্ণ সরকারকে৷ প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ৷

বুধবারই সুজিত দাস ও স্বপ্না সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এ দিন তাদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়৷ আদালতে যাওয়ার পথেই কীভাবে সে রামকৃষ্ণকে খুন করেছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে সুজিত৷ তার অবশ্য দাবি, রামকৃষ্ণকে খুন করার পরিকল্পনা তার ছিল না৷

জানা গিয়েছে, ঠাকুর দেখার নাম করে  সোমবার স্বপ্না সরকার স্বামী রামকৃষ্ণকে নিয়ে বনগাঁর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে বের হন। সেখান থেকে তাঁরা চলে আসেন গাইঘাটার গোয়ালবাতানে প্রেমিক সুজিত দাসের বাড়িতে। সঙ্গে বছর পাঁচেকের ছেলেকেও রাখে তারা। বিকেলে খাল পাড়ের বাঁশবাগানে মদ্যপান করতে বসে সুজিত ও রামকৃষ্ণ। জমে ওঠে নেশা। সুজিত কেন বারবার তাঁদের সাংসারিক জীবনে বাধা সৃষ্টি করছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন রামকৃষ্ণ৷ এই নিয়ে শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি৷ সুজিতের অভিযোগ, চ্যালা কাঠ নিয়ে তাকে মারতে আসে রামকৃষ্ণ৷  সেই কাঠ কেড়ে নিয়েই পাল্টা রামকৃষ্ণকে মারতে শুরু করে সে৷ তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণের৷

বাড়িতে ফিরে এসে প্রেমিকাকে সব জানায় সুজিত৷ এর পর দু'জনে মিলে রাতের বেলা দেহ সুজিতের ঘরে নিয়ে আসে৷ সেখানে তখন ছিল রামকৃষ্ণ ও স্বপ্নার পাঁচ বছরের ছেলে৷ ঘরের কোণে গর্ত খুঁড়ে রামকৃষ্ণের দেহ ঢোকাতে গেলে গর্ত ছোট মনে হয়। তখন ইট দিয়ে মেরে স্বামীর দেহের হাড়গোড় ভেঙে দেয় স্বপ্না৷ এর পর প্রেমিকের সাহায্যে দেহ মাটিতে পুঁতে দেয় সে৷

ধৃত সুজিতের কথায়, ঘরে ছোট গর্তের মধ্য়ে মৃতদেহ ঢুকিয়েছিল দুর্গন্ধ আটকাতে। পরিকল্পনা ছিল সুবিধা মতো অন্যত্র মৃতদেহ সরিয়ে দেওয়ার।কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে স্থানীয়দের তৎপরতা। মঙ্গলবার সকাল থেকে খাল আর পুকুরের কাছে রক্ত দেখে তাঁরা খোঁজ শুরু করেন। এলাকায় আলো লাগিয়ে পাহাড়া শুরু হওয়ায় মৃতদেহ আর সরাতে পারেনি সুজিত ও স্বপ্না।তাই বুধবার ভোরে বাড়ি ছাড়ে সুজিত। আর সোমবার ঘটনার রাতে স্বামীর মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে তার উপর চৌকি লাগিয়ে প্রেমিকের বাহুতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিল স্বপ্না। এমনই দাবি করেছে সুজিত৷

Rajarshi Roy
Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Murder