#দুবরাজপুর: ঠেলাগাড়িতে তেলেভাজা বিক্রি করতেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে সেই দরিদ্র জীবনে কপাল ফিরবে, বুঝতে পারেননি কেউই। বীরভূমের দুবরাজপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাতকেন্দুরি এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দে-এর জীবন পাল্টে দিল সামান্য় একটি লটারির টিকিট। মঙ্গলবারের লটারি খেলায় তিনি জিতলেন ১ কোটি টাকা। বিশ্বাস হচ্ছিল ফল ঘোষণার পরেও, তাই বিনিদ্র রাত কাটালেন প্রদীপ, দেড়টার সময় উঠে চা খেলেন, পরখ করে দেখলেন, স্বপ্ন দেখছেন না তো! না, স্বপ্ন নয়, সবটাই ঘোর বাস্তব।
আরও পড়ুন: 'টোটো চালক-চিকিৎসককেও ডাকছে, তারপর...', দুর্গাপুরে গর্জে উঠলেন মমতা! নিশানায় কে?
তিনি জানিয়েছেন, স্বপ্ন দেখতেন যে এক কোটি টাকা একদিন না একদিন তিনি জিতবেনই । আর সেই কারণেই মাঝেমধ্যেই টিকিট কাটার শখ তাঁর । গতকাল সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ৩০ টাকা দিয়ে তিনি টিকিট কাটেন এবং রাত আটটা নাগাদ লোক মারফত জানতে পারেন তিনি এক কোটি টাকা জিতেছেন । তেলে ভাজা বিক্রেতা প্রদীপ দে এই টাকা দিয়ে একটা বাড়ি বানাবেন , নিজের ব্যবসা বাড়াবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ করবেন বলে জানান । প্রদীপ দে আরও বলেন," গতকাল এক টিকিট বিক্রেতা ঘুরে ঘুরে টিকিট বিক্রি করছিলেন । টিকিটটা একবার দেখে আমি নিজের কাজে বেরোই । কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখি ওই টিকিট বিক্রেতার কাছে ওই নাম্বারের টিকিটটা পড়ে রয়েছে । সেই সময় আমি মনস্থির করি যে ঐ টিকিটটা নেবো এবং সঙ্গে সঙ্গে ৩০ টাকার বিনিময়ে নিয়েও নি ।
আরও পড়ুন: জিটিএ-তে খাতা খুলল তৃণমূল, মহকুমা পরিষদেও সবুজ ঝড়! পাহাড়ে দাপট অনীতের দলের
কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি আমি এক কোটি টাকার মালিক । বিশ্বাস করতে কিছুটা সময় লাগলো।" স্বভাবতই কোটি টাকা পেয়ে প্রদীপের পরিবারের খুশির হাওয়া । প্রদীপের নিচে অন্ধকার থাকলেও হঠাৎ এভাবে তাঁর জীবন আলোকিত হয়ে যাবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি । প্রদীপের স্ত্রী অরুণা দে বলেন , "এক কোটি টাকার খবর পেয়ে সারা রাত ঘুম হয়নি । আমাদের অভাবের সংসার ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করতাম যাতে একটু আলোর মুখ দেখি, এবার ঠাকুর মুখ তুলে চেয়েছেন । এই টাকা দিয়ে একটা বাড়ি করবো সঙ্গে ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় খরচ করব এবং এই তেলেভাজার ব্যবসা আরও বড় করার চেষ্টা করব। "
Supratim Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lottery