#সিউড়ি: নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন, দুই ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন কার্ড তুলে দিলেন পা ভাঙা আদিবাসি মহিলার হাতে। ঘটনাস্থল সিউড়ির একটি নার্সিংহোম।
বাড়িতেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন, তারপর থেকে হাঁটা-চলায় অসুবিধা ছিল বীরভূমের মহম্মদবাজারের কেন্দ্রপাহাড়ি গ্রামের আদিবাদি মহিলা রীনা মূর্মূর। এতদিন স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে চললেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানতে পেরে তাকে সিউড়ীর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা যায় তার বাঁ পায়ের গোড়ালি ভেঙে গিয়েছে। এ দিকে, আহত রীনা মূর্মূ 'স্বাস্থ্য সাথী' কার্ডের আবেদনও করেননি যথা সময়ে। তার ওপরে রয়েছে অর্থাভাব। সব মিলিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সামর্থ্য নেই একেবারেই।
ঘটনার কথা জানানো হয় মহম্মদ বাজার ব্লকের বিডিও কে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছন ব্লক প্রশাসনের 'দুয়ারে সরকার'-র একটি বিশেষ দল। হাসপাতালের বেডে শুয়েই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদন করেন রীনা মূর্মূ। জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম কম্পিউটার প্রিন্টার নিয়ে উপস্থিত হন হাসপাতলে। আবেদনপত্র পূরণ করার পর রোগীর ছবি তুলে, সমস্ত তথ্য নিয়ে দু'ঘণ্টার মধ্যে তার হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেয় মহম্মদ বাজার ব্লক প্রশাসন। হাসপাতালের বেডে বসেই মহাম্মদ বাজার ব্লকের বিডিওর হাত থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেন তিনি। নার্সিং হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার ওই মহিলার পায়ে অস্ত্রোপচার হবে।
রীনা মূর্মূ হাতে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেয়ে বেজায় খুশি। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, মহম্মদবাজার ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য গুহ জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে সরকার পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রশাসন বদ্ধপরিকর। মহম্মদবাজার এলাকার স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি কালি প্রসাদ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীনে মোহাম্মদ বাজারের সমস্ত আদিবাসীদের নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে রিনা মূর্মূকে পরিষেবা দেওয়া হল।"
Supratim Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Swasthya Sathi