মালদহ: মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করতে রাজি হয়নি বাবা। পরিণামে বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল ছেলে মেয়ে ও তাঁর নিজের স্ত্রী। মৃতের নাম দশরথ দাস (৪৩)।
প্রমান লোপাটের জন্য ঘরের মধ্যেই দশ ফুট গর্ত করে দেহ পুতে দিয়েছিল। ঘটনার ৫দিন পর পুলিশের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে তারা। এর পর ঘরের মধ্যে থেকে দেহ তোলে পুলিশ৷ ঘটনায় ব্যাপক সোরগোল পড়ে যায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পঞ্চবাটী এলাকায়।
অভিযুক্ত স্ত্রী সুভদ্রা পাস, ছোট মেয়ে সুদীপা দাসকে গ্রেপ্তার করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছেলে মধুসূদন দাস, বড় মেয়ে পূজা দাস ও জামাই অমিত রায়ের খোজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন- শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী সাইকেল! সচেতনতা ছড়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নয়া উদ্যোগ
দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় আলাদা বাড়িতেই থাকতেন দশরথ দাস। দশরথ নিজে সুজনীপাড়াতে তার আসল বাড়িতে থাকতেন দাদা ও ভাইদের সঙ্গে। চাষাবাস করেই সংসার চলত।
অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী সুভদ্রা দাস ও ছেলে মেয়েরা রঘুনাথগঞ্জ থানার পঞ্চবাটী এলাকায় বাড়ি করে থাকতেন কয়েক মাস আগে থেকে। বড় মেয়ে পূজা দাসের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য সুতির একটি জমি বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছিল স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েরা। কিন্তু সেই জমি বিক্রি করতে রাজি হননি দশরথ দাস।
গত মঙ্গলবার ছেলের অসুস্থ বলে তাঁকে পঞ্চবটীর বাড়িতে ডেকে পাঠায় স্ত্রী। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি দশরথ দাসের। ভাই উদয় কুমার দাস রঘুনাথগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রতিবেশীদের থেকে জানতে পারে, দশরথ দাসের বাড়িতে কিছু নতুন মাটি ফেলা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের উপস্থিতিতে শুক্রবার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঘরের মেঝের মাটি খোঁড়া হয়।
কিন্তু প্রথমে মাটি খুঁড়ে কিছু পাওয়া যায়নি। শুক্রবার রাতেই স্ত্রী সুভদ্রা দাস ও মেয়ে সুদীপা দাসকে গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় তারা।
আরও পড়ুন- ৪ বছরে ৩ জন! নাটকে মৃত্যুর দৃশ্যে অভিনয় করার পরদিন আকস্মিক মৃত্যু, উত্তাল হুগলি
ঘরের মধ্যে দেহ পোঁতা রয়েছে বলে পুলিশকে জানায় তারা। শনিবার সকালে মা ও মেয়েকে নিয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ আবার পঞ্চবাটীর বাড়িতে হাজির হয়। এর পর শোবার ঘরের মধ্যে প্রায় ১০ ফুট গভীর গর্ত খুড়ে দশরথ দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murder Case