#বর্ধমান: জেলের মধ্যে খুনোখুনি! এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির হাতে খুন হল অন্য এক বিচারাধীন বন্দি। মঙ্গলবার বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশোধনাগার ও জেলার প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংশোধনাগারের ভেতরে প্রহরীদের নজর এড়িয়ে কিভাবে এক বন্দি অন্যজনকে খুন করে ফেললো তা জানতে আগ্রহী সকলেই। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যান। বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আগামীকাল বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে যথাযথ পদ্ধতি মেনে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে। তার শরীরের কোথায় কোথায় কতবার কিভাবে আঘাত করা হয়েছিল তা ময়না তদন্তের রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাবু শেখ। বয়স ৩৪ বছর। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে। মাদক সংক্রান্ত মামলায় সে তিন বছর ধরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বন্দির নাম মিঠুন শীল।তার বাড়ি কলকাতার বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায়।বেলেঘাটা থানার পুলিশ প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল। সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই বন্দি গত বছরের অগাস্ট মাসে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার আসে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ জেলের ভেতর ক্যান্টিনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুজনের মধ্যে ক্যান্টিনের খাবার নেওয়া নিয়ে বচসা বাধে। সেই সময় অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মিঠুন বিচারাধীন বন্দি বাবু শেখকে মারধর করে। বাবু শেখকে মুখের পাশে ঘুষি মারে। তাতেই অচেতন হয়ে পড়ে বাবু শেখ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কেন এই খুন তা জানতে মিঠুনকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আগামিকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে। পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পরই তাকে বিস্তারিত জেরা করা হবে।
Saradindu Ghosh