#বর্ধমান: করোনার মাঝে বিপত্তি বোধহয় একেই বলে। চোদ্দ মাসের শিশুকন্যার ডান হাত ভেঙে গিয়েছিল। পুলিশের ধরপাকড় এড়িয়ে অবশেষে খুঁজে পেতে ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে গিয়েছিল বাবা মা। ডাক্তারবাবু দেখেশুনে বললেন প্লাস্টার করতে হবে হাতের। ভেঙেছিল ডান হাত, ডাক্তারবাবু প্লাস্টার করলেন বাঁ হাতে। ডাক্তারবাবুর কীর্তি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ শিশুকন্যার বাবা মায়ের।
সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানে। বর্ধমান শহরের খোসবাগানের এক অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর নিজস্ব চেম্বারের এই ঘটনা ঘটালেন। ঘটনার পর ডাক্তারের চেম্বারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুর পরিবারের লোকজন। এই মারে সেই মারে অবস্থা। ভুল বুঝতে পেরে কার্যত ক্ষমা চেয়ে নেন চিকিৎসক। বাঁ হাতের প্লাস্টার কেটে ডান হাত প্লাস্টার করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শিশুকন্যার নাম আয়ুশী বটব্যাল। ছোট্ট আয়ুশী পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার লোহাই গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে পড়ে যায় সে। তার ডান হাতে আঘাত লাগে। শনিবার সেই ঘটনা ঘটে। দু'দিন ধরে যন্ত্রণায় কেঁদেই চলেছিল সে। যন্ত্রণা না কমায় তাকে সোমবার বর্ধমানে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। বর্ধমানের ডাক্তারপাড়া খোসবাগানে অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ সৌম্য ঘোষের চেম্বারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার হাতের এক্স রে করিয়ে আনার পরামর্শ দেন। এক্স রে-তে দেখা যায় শিশুকন্যার ডান হাতে চিড় ধরেছে। চিকিৎসক সৌম্য ঘোষ শিশুকন্যার পরিবারকে জানান, প্লাস্টার করতে হবে। তাতেই হাত ঠিক হবে।এরপর শিশুকন্যাকে নিয়ে চেম্বারে ঢোকেন ডাক্তারবাবু। আত্মীয় পরিজনদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর ডাক্তারবাবু হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন। আনা হয় শিশুকন্যাকে। শিশুকন্যাকে দেখে ঠাকুমা রুনু বটব্যালের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ওকে দেখেই আঁতকে উঠি। দেখি ডান হাতের বদলে বাঁ হাতে প্লাস্টার করেছে ডাক্তার। এরপরেই চেম্বারের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।চিকিৎসক সৌম্য ঘোষ বলেন, ভুল হয়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক করে দেবো। শিশুকন্যার আত্মীয়দের প্রশ্ন, লক ডাউনে ঘরে বসে থেকে কি কাজ ভুলেছেন ডাক্তার ? এত বড় ভুল তিনি করলেন কি করে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।