#চন্দননগর: সন্ধ্যা সাড়ে সাত'টায় লগ্ন। তাই দুপুর গড়াতেই ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছিল আর পাঁচটা বাড়ির মতোই। মেক-আপ আর্টিস্টের কাছে সাজতে বসে গিয়েছিলেন কনে। উৎসব ভবন জুড়ে বাজছিল বিসমিল্লা খাঁ-র সানাই। ঠিক সেই সময় দূর থেকে ভেসে আসতে শুরু করে মিছিলের স্লোগান।আর তারপরেই চমক...
টুকটুকে লাল বেনারসী পরিহিতা কনে মেক-আপ আর্টিস্টের কাছে সাজতে সাজতেই হঠাৎই দরজা খুলে দৌড়তে শুরু করলেন বারান্দার দিকে। পিছনে তখন তাঁকে দেখে ছুটছেন বাড়ির আরও কয়েকজন। সকলে মিলে গিয়ে থামলেন বিয়ে বাড়ির বারান্দায়। বাইরে তখন সানাইয়ের সুর ম্লান হয়েছে নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর রোড শো থেকে মুহুর্মুহু উঠে আসা স্লোগানের কাছে। এমতাবস্থায় কনের কান্ড দেখে হতবাক শুভেন্দু অধিকারী নিজেও।
বুধবার চন্দননগর তালডাঙা মোড় থেকে মানকুন্ডুর সার্কাস মাঠ পর্যন্ত রোড শো ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। রোড শো'কে শুভেন্দু অধিকারী নিজেই নাম দেন শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রা এগি গিয়েছে জিটি রোড ধরে। চন্দননগর রথের সড়ক দিয়ে যখন রোড শো যাচ্ছে সেই সময় রাস্তার পাশেই বিয়েবাড়ি 'উৎসব ভবন'-এ বিয়ের তোড়জোড় চলছে। সেই বাড়ির মেয়ে অর্থাৎ কনের এ হেন কীর্তি দেখে হতবাক সকলে। তবে কনে যে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছেন, তা নয়। কার্যত গোলা ফাটিয়ে স্লোগান তোলেন শুভেন্দুর সমর্থনে। হাত নেড়ে সমর্থন জানান মিছিলে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে। যা দেখে খুশি চেপে রাখতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং।
শুভেন্দু বলেন, "গোটা চন্দননগর আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। মিছিলে না হয় স্বাভাবিকভাবে যারা বিজেপি কর্মী, সমর্থক তারা পা মেলান। কিন্তু আজ বিয়ের কনে পর্যন্ত আমাদের মিছিলকে হাত নেড়ে, স্লোগান তুলে যোগদান করেন।" এ দিন জিটি রোডের ধারে বহু মানুষ যেমন ভিড় জমিয়েছিলেন, তেমনই রাস্তার পাশের বহুতলেও মানুষ ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছেন শুভেন্দু-লকেট'কে দেখতে। এই ভিড় দেখেই হুগলি জেলায় ১৮-০ করার কথা বলছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে পথ ধরে মিছিল এগিয়েছে তা মূলত চন্দননগর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। যার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁকেও এ দিন তোপ দেগেছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর দাবি, 'সঙ্গীত মেলার গায়ক-গায়িকাদের থেকে তিনি কাটমানি নেন ইন্দ্রনীল।' একই সাথে করোনা বা লকডাউন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষদের সাথে কোনও যোগাযোগ রাখেননি বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ABIR GHOSHAL