#বহরমপুর: কুসংস্কারের বলি হল এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সাপে কামড়ানো ওই ছাত্রীকে সময়মতো হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। কার্যত একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল নদিয়া জেলার পলাশী-গোবিন্দপুর গ্রামের ওই ছাত্রীর। সোমবার ভোরে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: আটকানো হল লরি, পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশে! যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ নিজের বাবা-মার সঙ্গে ঘুমাতে যায় সান্ত্বনা মাঝি নামে বছর তেরোর ওই ছাত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে সান্ত্বনা জানায়, তার হাতে প্রচণ্ড জ্বালা করছে। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর সে বমি করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সংজ্ঞা হারায়। সেই সময় বাড়ির লোক তাকে দ্রুত পলাশী হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।পলাশী হাসপাতালে সান্ত্বনার অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন।
সান্ত্বনার দাদা রাঘব মাঝি জানান, বোনকে চিকিৎসকেরা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়ার পর কয়েকজন গ্রামবাসী সাজাপুর পাগলাচণ্ডীতে একজন ভাল ওঝার কাছে নিয়ে যেতে বলে। ওই ওঝার কেরামতিতে নাকি বহু সাপে কাটা রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গ্রামবাসীদের পরামর্শ মেনেই পাগলাচণ্ডীতে ওই ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। সকাল ৬টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছনো মাত্রই ডাক্তাররা সান্ত্বনাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন এবং তার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সান্ত্বনার মৃত্যু হয়।
মৃতার ভাই বলেন, "গতকাল আমাদের এলাকায় প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। সে কারণে মশারি না টাঙিয়ে সান্ত্বনা শুয়েছিল সান্ত্বনা। তখন কোনও বিষধর সাপ ওকে কামড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও সাপটিকে আমরা দেখতে পাইনি।" ইতিমধ্যেই সান্ত্বনার দেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
Pranab Banerjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad