#সুন্দরবন: ভগবতপুরের প্রজনন কেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের খাড়ি এলাকায় ছাড়া হল ৫৫ টি অবলুপ্তপ্রায় নোনা জলের কুমির । চোরাশিকার, সুন্দরবনে জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে ওঠা-সহ বিভিন্ন কারণে অবলুপ্তির পথে এই প্রজাতির কুমির। কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন রাজ্য বন দফতরের কর্তারা।
এক সময় সুন্দরবনে প্রায় অবলুপ্ত হতে বসেছিল নোনা জলের কুমির। কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে ১৯৭৬ সালে ভগবতপুরে কুমির প্রজনন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। সুন্দরবনের দাবারখানা খাল থেকে কুমীরের ৩২টি ডিম সংগ্রহ করে এই প্রজনন কেন্দ্র চালু করা হয়। তার পর থেকে সাফল্যের সঙ্গে চলছে এই কুমীর প্রজনন কেন্দ্র। ১৯৭৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে ৬২৯ টি কুমির ছাড়া হয়েছে সুন্দরবনের সাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে। এবারে যে ৫৫ টি কুমির সুন্দরবনের খাড়ি এলাকায় ছাড়া হয়েছে তার মধ্যে ৪০টি পুরুষ এবং ১৫টি স্ত্রী কুমীর। এদের গড় বয়স চার বছর।
বন দফতরের সর্বশেষ হিসেব বলছে, শেষ কুমির সুমারিতে সুন্দরবনে ২৪০টি কুমিরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ১৪১ কুমিরের অস্তিত্বের প্রত্যক্ষ এবং ৯৯ টির পরোক্ষ অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে।
SHALINI DATTA