আরামবাগ: আরামবাগ মহকুমার ঐতিহ্যবাহী গাজনগুলির মধ্যে অন্যতম হল বাতানলের গাজন। এই গাজনের খ্যাতি শুধুমাত্র আরামবাগ মহকুমা নয়, হুগলি জেলা ছাড়িয়ে সারা রাজ্যের মানুষের কাছেই। প্রতিবছরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে গাজন দেখতে আসেন।
গাজন উপলক্ষে প্রায় প্রতি বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজন ভিড় করেন। বিভিন্ন ধরনের বান ফোঁড়া, ভীষ্মের শরশয্যা-সহ বিভিন্ন সঙ এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। প্রতিবছরই এখানে শতাধিক ভক্ত সন্ন্যাসী হন। এ বছরও ১২৯ জন সন্ন্যাসী থাকবেন। এ বিষয়ে বাতানাল শিব কমিটির সদস্যরা জানান, সন্ন্যাসীদের উদ্যোগী গাজন হয়।
আরও পড়ুনঃ সেই রংমিলান্তি পোশাকে হঠাৎ কোথায় গেলেন শোভন-বৈশাখী? সঙ্গে কে? তোলপাড় বাংলা
প্রায় ৩০০ বছরের উপর শিবের গাজন শুরু হয় গ্রামের মধ্যে অনেক পুরুষ ধরে চলে আসছে শিবের গাজন। আজও সেই প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী হয় পুজো পাঠ। তিনদিন ধরে চলে গাজন। মহা শিবের কাছে কোনও মানুষ মানত করলে, তা সফল হয় । তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শিবের গাজনে আসেন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, 'সারা বছরই গাজনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। আশেপাশে গ্রামের মধ্যে মহা শিবের গাজন। এই কয়েকটা দিন ব্যবসায় কেনাবেচা হয় ।'
Suvojit Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hooghly