রায়দিঘি: আছে মিউজিয়াম, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রত্নবস্তুগুলিতে জমেছে ধুলো। ভেঙে পড়ছে টালির চাল। ত্রিপল দিয়ে কোনোও রকমে ঢেকে রাখা হয়েছে, টিমটিম করে জ্বলা সুন্দরবনের সুপ্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত একটি মিউজিয়ামকে। কোথায় এই মিউজিয়াম তা জানতে আপনাকে আসতে হবে রায়দিঘির খাড়িতে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা অথবা লক্ষীকান্তপুর লোকালে চেপে নামতে হবে মথুরাপুরে। সেখান থেকে শ্রীমতি মোড়ে নেমে গ্রামের পথ ধরে খাড়ি।
এই খাড়ি ছত্রভোগ সংগ্রহশালায় রয়েছে ফসিলস, পাল ও সেন যুগের মূর্তি, প্রাগোতৈহাসিক জীবের হাড়। ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগের পাথর, শিলালিপি। নব্যপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার, একাধিক দামী পাথর সহ আরও অন্যান্য বস্তু।
আরও পড়ুনঃ কপালে ধ্যাবড়ানো সিঁদুর-চন্দন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা মণ্ডল, পাত্র কে জানেন?
প্রায় হাজারের উপর প্রত্নবস্তু সম্বলিত এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেছিলেন দীনবন্ধু নস্কর। সুন্দরবনের ইতিহাসকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে একাই শুরু করেছিলেন লড়াই। বর্তমানে সুন্দরবনের ইতিহাসের একটি জীবন্ত দলিল এই মিউজিয়াম। কিন্তু দীনবন্ধু নস্কর প্রয়াত হওয়ার পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মিউজিয়াম এখন ধ্বংসের মুখে। বর্তমানে তাঁর পুত্র পঙ্কজ নস্কর মিউজিয়ামের দেখভাল করছেন। সম্প্রতি দীনবন্ধু নস্করের স্মরণে বসানো হয়েছে একটি প্রস্তর মূর্তি।
আক্ষেপের সুরে পঙ্কজ নস্কর জানিয়েছেন, এই মিউজিয়াম সুন্দরবন এলাকার ইতিহাসের দলিল। সরকারি অর্থ সাহায্যে যদি মিউজিয়ামটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে সুন্দরবন এলাকার মানুষ তাদের নিজেদের এলাকায় একটি সুন্দর মিউজিয়াম দেখতে পাবে। তবে মিউজিয়ামের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছুটা হতাশ তিনি। মিউজিয়ামের ভাঙাচোরা দশার হাল কবে ফিরবে সেই উত্তর নেই কারও কাছেই। তবে এই মিউজিয়াম ধ্বংস হওয়ার আগে বিনামূল্যে আপনিও দেখে আসতে পারেন এই সংগ্রহশালা।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sundarban