#কাকদ্বীপ: সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর অতিক্রান্ত প্রায় দেড় মাস। কিন্তু ইলিশের তেমন দেখা নেই। মাঝে মধ্যে জালে ইলিশ পড়লেও তা পরিমাণে খুবই কম। আর সেজন্য চিন্তায় মৎসজীবীরা। মৎসজীবীরা সাধারণত সমুদ্রে কোনো বিপদের মধ্যে পড়লে মা গঙ্গাকে স্মরণ করে থাকেন। এবছর ইলিশ কম আসায় মৎসজীবীরা গঙ্গাপুজোর আয়োজন করেছেন কাকদ্বীপে। দুর্গাপুজো পর্যন্ত ইলিশ ধরার মরশুম থাকবে। হাতে আর মাত্র কয়েকটি মাস। এরপর এবছরের মত বন্ধ হবে মাছ ধরার পর্ব। সামনের এই কয়েকটা মাসে জালে প্রচুর মাছ পড়লে মৎসজীবীরা লাভবান হবেন। সেজন্য এই কয়েকমাসের মধ্যে যাতে জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পড়ে সেজন্য কাকদ্বীপে মৎসজীবীরা আয়োজন করল গঙ্গাপুজো!
মূলত এই গঙ্গাপুজো মৎসজীবীরা মাছ ধরার মরশুমের শুরুতেই করে থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরে ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য মাছ জালে কম পড়ায় মরশুমের মাঝেও এই পুজো করা হচ্ছে। এবছরও জালে মাছ কম পড়ায় এই পুজো করা হয়েছে। তা ছাড়া এবছর সমুদ্রে বেশ কয়েকটি ট্রলার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আগামী মাসগুলিতে যাতে আর কোনোরকম দুর্ঘটনা না হয় সেজন্য এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এবছর কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে ধুমধাম করে গঙ্গাপুজো আয়োজন করল কাকদ্বীপ ট্রলার মাঝি মালিক ও মৎস্যজীবীরা। জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ পড়ার মনস্কামনা নিয়ে তাঁরা এই পুজো করছেন। এর সঙ্গে সমুদ্রে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও এই গঙ্গা আরাধনা বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা!
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড তিন MLA কাণ্ডে এবার CID-র জালে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল!
কাকদ্বীপের কালনাগিনী নদীর তীরে এই পুজোর আয়োজন করেছিল মৎসজীবীরা। পুজোকে ঘিরে তাঁদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চরমে। এই পুজোয় মৎসজীবী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এই পুজোর পর আবারও তাঁরা বের হবেন মাছ ধরার জন্য। এখন দেখার বাকি মরশুমে জালে কতটা মাছ ওঠে।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ilish, Kakdwip, South 24 Paraganas News