হোম /খবর /দক্ষিণ ২৪ পরগনা /
'আমি পুলিশের বড় কর্তা', পরিচয় দিয়েই যা করলেন এক ব্যক্তি, ঘেন্না ধরে যাবে

Police: 'আমি পুলিশের বড় কর্তা', পরিচয় দিয়েই যা করলেন এক ব্যক্তি, ঘেন্না ধরে যাবে

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

Police: এমন সময় ফেসবুকে আলাপ সন্দেশখালির গাববেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সরদারের সঙ্গে।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে রক্ষকই ভক্ষক। আর এই কথাটা যে একেবারে ভুল নয়, তার চাক্ষুষ প্রমাণ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুর এলাকায়। কেষ্টপুর থানা এলাকায় বেশ কয়েক বছর বাড়ি ভাড়া নিয়ে একমাত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করেন বছর তিরিশের স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলা। অভাবের সংসার চালাতে কাজের খোঁজ করছিলেন ওই গৃহবধূ।

কিন্তু কোনো কাজ জোটাতে পারছিলেন না ওই গৃহবধূ । এমন সময় ফেসবুকে আলাপ সন্দেশখালির গাববেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সরদারের সঙ্গে। সেই ব্য়ক্তি পেশায় আবার পুলিশ কর্মী। গোপাল নিজেকে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয় দেয়, বর্তমানে বিধাননগর কমিশনারেটে কর্মরত রয়েছেন বলেন মহিলার কাছে । অসহায় মহিলা গোপালের কথায় বিশ্বাস করে  কাজের জন্য অনুরোধ করেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব বেড়ে ওঠে । গোপাল মহিলাকে আশ্বস্ত করে, তার সমস্যার সমাধান করে দেবে । রাজ্য পুলিশের আধিকারিক হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে পুলিশ কর্তাদের দহরম মহরম রয়েছে।

আরও পড়ুন: নেতা-মন্ত্রী নন, সামান্য এক শিক্ষক যা করেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে! অবাক হয়ে যাচ্ছে আদালতও

মহিলার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার পরই তার কাছে থেকে টাকা দাবি করেন চাকরির জন্য। অভিযোগ চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও বেশকিছু সোনার গহনা হাতিয়ে নেয় । অভিযোগ চাকরিতে পরীক্ষা দিতে যাবার নাম করে, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির একটি রিশর্ট এ নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে,পরে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। গোপালের এই আচরণে পরই গোপালের খোঁজ নিয়ে জানতে পারে গোপাল কোনো পুলিশ আধিকারিক নয়, সে একজন কনস্টেবল।

আরও পড়ুন: আর রক্ষে নেই অনুব্রতর, গরু-কয়লা কাণ্ডের পর আরও বড় দুর্নীতিতে যোগ? বিস্ফোরক তথ্য

মহিলা তার দেওয়া সব গয়না ও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরৎ চাইলে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই থেমে থাকেননি অভিযুক্ত কনস্টেবল । মহিলার আরও অভিযোগ যখন তখন বাড়িতে গিয়ে যৌন সম্পর্ক করার জন্য তাকে চাপ দিতেন, প্রাণে মারার হুমকিও দিতেন। মহিলা এসব সহ্য করতে না পেরে সমস্ত ঘটনা প্রমাণ স্বরূপ মোবাইল ফোনে ক্যামেরা বন্দি করেন। এরপর সমস্ত প্রমাণ নিয়ে বাগুইহাটি থানার দারস্থ হন। অভিযোগ অভিযুক্ত একজন পুলিশ কর্মী দেখে, অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বাগুইহাটি থানার পুলিশ । অবশেষে ওই মহিলা ভয় পেয়ে থেমে থাকেননি । সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য এবং কেন্দ্রের মহিলা কমিশনে । তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ নির্যাতিতা গৃহবধূ।

---------অর্পন মন্ডল

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: Police, West Bengal news