দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু প্রমাণ করেছিলেন উদ্ভিদ উত্তেজনায় সাড়া দেয়, কষ্ট পেলে কাঁদে। কেন এ কথা বলছি? আসলে জগদীশচন্দ্র বসুর সেই কথা আমরা কেউ মনে রাখি না। আর তাই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নির্দ্বিধায় বড় বড় পেরেক গেঁথে ফেলা হয় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বড় গাছগুলিতে।
গাছে পোঁতা সেই পেরেকগুলো থেকে ঝোলে রাজনৈতিক দল বা নেতার বড় বড় ব্যানার আবার। কোনটায় থাকে বিজ্ঞাপনী চমক। সবুজ রক্ষায় চারদিক থেকে যখন চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না, তখন জয়নগর দক্ষিণ বারাসত এলাকাজুড়ে চোখে পড়ছে এমনই ছবি। তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। সরকারি তরফে বিষয়টি নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত রোজগারের আশায় দোকান তৈরিই কাল হল! নিয়ম ভাঙার 'অপরাধে' কাজ হারালেন চা শ্রমিক
এই প্রসঙ্গে বারুইপুর মদারহাট পপুলার অ্যাকাডেমির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক চিত্তরঞ্জন নস্কর বলেন, গাছে পেরেক গাঁথা যথেষ্ট ক্ষতিকর। তাতে গাছের জাইলেম ফ্লোয়েম কণা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে উদ্ভিদের স্বাভাবিক সংবহন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাতে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং এর ফল অনেক ভয়ানক হতে পারে। কারণ ওই গাছগুলি থেকে বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগেরর সময় এই ধরনের বড় গাছও ভেঙে পড়তে পারে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, গাছ মানুষকে রক্ষা করে আসছে। সেই গাছের গায়ে পেরেক মেরে নানা রকম প্রচারের সাইনবোর্ড লাগানো ঘটনা অমানব। এটা পরিবেশের ক্ষতি করছে। যারা এমন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি।
সুমন সাহা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tree