বকখালি: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বকখালির ডিয়ার পার্ক। এর ফলে ক্ষুব্ধ আমজনতা। সৈকত শহর হিসাবে ধীরে ধীরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছিল বকখালি। বিশেষ করে নামখানা ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর বকখালিতে বাড়ছিল পর্যটকের সংখ্যা।
এই পর্যটন কেন্দ্র বর্তমানে ধুঁকছে বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য বকখালিতে তৈরি করা হয়েছিল ডিয়ার পার্ক, সেলফি স্পট-সহ একাধিক জায়গা। বকখালিতে এলে পর্যটকরা এই জায়গাগুলি ভ্রমণ করতেন। হরিণ, কুমির, বানর, হনুমান দেখে আনন্দ পেতেন। শুধু সমুদ্র সৈকত দেখার বদলে এই ডিয়ার পার্কে পর্যটকরা গিয়ে ছোটোখাটো চিড়িয়াখানার স্বাদ পেতেন।
তবে সেসব এখন অতীত। বকখালি ডিয়ার পার্কে এখন কোনও প্রাণী নেই। পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে বনদফতরের পক্ষ থেকে ডিয়ার পার্কের বাইরে নোটিশ টাঙানো হয়েছে পার্কে কোনও প্রাণী নেই বলে। ফলে বকখালিতে আসার পর পর্যটকরা এখন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে গেছে পাকিস্তান! প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করে নিলেন খোদ মন্ত্রী, এবার কী হবে?আরও পড়ুন: ১ লিটার দুধের প্যাকেট ২১০ পাক রুপি, ১ কেজি চিকেন ছুঁয়েছে ৭৮০ পাক রুপি, খাবারের আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস পাকিস্তানবাসীরযার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পর্যটন শিল্পে। এ নিয়ে স্থানীয় এক দোকানদার বাবুলাল মিস্ত্রি জানান বাইরে থেকে পর্যটকরা আসছে কিন্তু ডিয়ার পার্কে যাবে বলেও তারা যেতে পারছেনা। ফলে হতাশ হচ্ছে পর্যটকরা। সম্প্রতি বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ ট্যুরিজম ডেভলেপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে এই সমস্যার সমাধানে একটি মিছিল বের করা হয়।
সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর। সেসময় এই ডিয়ার পার্কের বনাঞ্চল নষ্ট হয়েছিল। তবে তার পর থেকে আর কোনওভাবে সেগুলিকে সারানো হচ্ছেনা বলে দাবি স্থানীয়দের। দ্রুত সেগুলিকে যথাস্থানে এনে পর্যটকদের আবার বকখালিমুখীকরার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Local news