হোম /খবর /শিলিগুড়ি /
তক্ষক পাচারের ছক বানচাল করল বন দফতর! কেন তক্ষক পাচার করা হয় জানেন

Siliguri News: তক্ষক পাচারের ছক বানচাল করল বন দফতর! কেন তক্ষক পাচার করা হয় জানেন

X
গ্রেফতার [object Object]

Siliguri News: তক্ষক কেন চুরি করে পাচার করা হয়? এর দাম লক্ষাধিক কেন? কী এমন আছে এই তক্ষকে?

  • Share this:

শিলিগুড়ি: বড়সড় সাফল্য বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম বন দফতর ।ভুটান থেকে চিনে পাচারের আগে বন দফতরের তৎপরতায় উদ্ধার হল হরিণের শিং ও তক্ষক । বন দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করে তিন জনকে। শরীরের মধ্যে লুকিয়ে হরিণের শিং ও একটি ব্যাগে করে বিরল প্রজাতির তক্ষক নেপাল হয়ে চিনে পাচারের ছক কষেছিল তিন পাচারকারী। তার আগে শিলিগুড়ির নৌকাঘাট মোড় থেকে একটি বাস থেকে বাজারকারীদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা গিয়েছে, সন্দেহ হাওয়ায় তিনজনকে প্রথমে আটক করে তল্লাশি চালালে শরীরের জামাকাপড়ের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির তক্ষক ও হরিণের শিং । কাপড়ের মধ্যে পেঁচিয়ে কোমরে বেঁধে তক্ষক ও হরিণের সিং পাচার করার চেষ্টা করছিল তারা। সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন- গাড়ি তো নয়, যেন খাঁটি লোহা! পারিবারিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ টাটার এই চারচাকা
আরও পড়ুন- বসন্তেই কাবু হবে সংক্রমণ, কমবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট! দোল আসতেই আশায় স্বাস্থ্য দফতর, জারি বিবৃতি

উল্লেখ্য, ওষুধপত্রের পাশাপাশি মাদক তৈরিতে কাজে লাগে সরীসৃপ প্রজাতির পতঙ্গভুক প্রাণী তক্ষকের দেহাংশ। তক্ষকের বৈজ্ঞানিক নাম (Gekko gecko) গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। বাংলাদেশ-সহ মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চিন ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষকের বাস। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির তক্ষক দেখা যায়। এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসাায় হাঁপানি, এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বন দফতরের তরফে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হলে পুলিশ ওই তিনজন ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করে। কোথা থেকে এই তক্ষক আনা হল ও তার পেছনে বিদেশী যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর ? সেই বিষয়ে তথ্য জানতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্যে বিচারকের কাছে অনুরোধ জানাবে বনদফতর বলে জানালেন বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের এডিএফও দেবাশীষ ভঞ্জ। ধৃত তিনজনের মধ্যে ২ জন কোচবিহার ও ১ জন আলিপুরদূয়ার জেলার বাসিন্দা। যাদের নাম আজিবুল হক, সৌভিক দাম ও বিষ্ণু বর্মন। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে হাত বদলে ছকছিলো পাচারকারীদের।

অনির্বাণ রায়

Published by:Uddalak B
First published:

Tags: Crime