শিলিগুড়ি: কবি সুরদাসের কথা কে না জানে! মধ্যযুগের একজন দৃষ্টিহীন হিন্দু কবি ও গায়ক, যিনি তাঁর ভক্তিমূলক রচনার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। অন্ধত্ব সত্ত্বেও বহু কাব্যের রচনা করেছেন, বহু গান লিখেছেন তিনি। কিন্তু শিলিগুড়ির এই ছোট্ট খুদে অন্ধ নয়। কিন্তু চোখ বন্ধ করেই সে পড়ে ফেলতে পারে আস্ত একটি বই। তার এই দক্ষতা দেখে অবাক সকলে। ১১ বছরের ছোট্ট দক্ষের ছোটবেলায় কথা বলার সময় কথাগুলি অস্পষ্ট ছিল। সে কথা বললে কেউ কিছু বুঝতে পারত না। পড়াশোনায়ও তার মন বসত না। লিখিত পরীক্ষায় ভাল নম্বর আনলেও ভাইভা-তে সবসময় পিছিয়ে থাকতো । সেই থেকেই এই গল্পের সূত্রপাত।
দক্ষের মা অর্চনা সিং একজন নিউরো ল্যাঙ্গুইস্টিক প্র্যাকটিশনার। তিনি ছেলের এরকম সমস্যা দেখে তার উচ্চারণ স্পষ্ট করার জন্য সংস্কৃত শেখায়। মেডিটেশন, বিভিন্ন রকম থেরাপির মাধ্যমে ছেলে হয়ে ওঠে দক্ষ প্রতিভা। সমস্ত কিছুই সে নিমেষে মনে রাখতে পারে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ তার "ম্যাক্সিমাম নম্বর নেম রিকল্ড ইন ওয়ান মিনিট ওয়াইল বিং ব্লাইন্ড ফোল্ডেড'' ক্যাটাগরিতে নামও উঠেছে। তারপর ধীরে ধীরে নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলে এই শিশু। সে চোখ বন্ধ করেই এক মিনিটে অনেক নম্বর মনে রাখতে পারে।
সেখান থেকেই তার প্রতিভাকে আরো নিখুঁত করতে মিউজিক হিলিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকেই এই অদ্ভুত প্রতিভার জন্ম ! ১১ বছরের ছোট্ট খুদে চোখ বন্ধ করেই পড়ে ফেলতে পারে সবকিছু। হাতের সামনে বই থাকলে চোখ বন্ধ করেই সমস্ত কিছু পড়ে ফেলছে এই শিশু। না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মিউজিক হিলিং থেরাপিস্ট বিনীতা বলেন, বাম এবং ডান মস্তিষ্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এই মিউজিক হিলিং টেকনোলজি। মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে দু'রকমের হরমোন নিঃসৃত হয়। সেই হরমোনের ফলেই শরীর যেমন রিপেয়ার হয়, তেমনি নানারকম শরীরের অঙ্গকে মস্তিষ্কের সঙ্গে কমিউনিকেশনে সহায়তা করে,যার জন্য চোখ বন্ধ করেই বই পড়তে পারছে।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।