বাগডোগরা: অন্ধকারে হাতি নজরে না পড়ায় প্রাণ গিয়েছে এমন উদাহরণ কম নেই। এমনকি, পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও বোঝা যায় না। হাতির করিডরের এই সমস্যা দূর করতে অর্ড তরাই চা বাগানে সার্চলাইট, হ্যান্ডমাইক বিতরণ করা হল।
চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে তরাইয়ের ওই চা বাগানের শ্রমিক আবাস ও শ্রমিক লাইনে ‘গ্লো উইথ ফরেস্ট' প্রকল্পের আওতায় ৫০টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আলো লাগানো হয়। পাশাপাশি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কিউআর টিমের সদস্যদের ১৮টি সার্চলাইট এবং ২টি অত্যাধুনিক হ্যান্ডমাইক বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই চা বাগানের কমিউনিটি হলে কার্সিয়াং বন দফতরের পানিঘাটা রেঞ্জ এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষ এই কর্মসূচির সূচনা করে।
আরও পড়ুন - ব্লাড সুগার থেকে বাঁচতে চান? মেনে চলুন এই কয়েকটি টোটকা, রক্তে চিনি কমবেই
কার্সিয়াং বন দফতরের ডিএফও হরিকৃষ্ণ পিজে বলেন, 'কার্সিয়াং বন দফতরের অধীনে ৫৬টি চা বাগান রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ চা বাগানে হাতি এবং চিতাবাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘাত বড় সমস্যা হয়েদাঁড়িয়েছে। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হলেও বন দফতরের তহবিল কম থাকায় বেগ পেতে হয়েছে।'
তিনি জানান, কিছু জায়গায় হাতি ঢুকলেও গাড়ি ও বনকর্মীর সংখ্যা কম থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। সেজন্য বাগান কর্তৃপক্ষকে বলে কিছু পুরোনো ছায়াগাছ কাটার ব্যবস্থা করা হয়। তারপর সেগুলিকে বিক্রি করে সেই টাকার ১০ শতাংশ শ্রমিক উন্নয়ন তহবিলে জমা দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। পানিঘাটার রেঞ্জ অফিসার মানসকান্তি ঘোষ বলেন, 'এর আগে চেঙ্গা গ্রামে এবং নিরপানি গ্রামের হাতির করিডর এলাকায় এই লাইট লাগিয়ে সুফল পাওয়া গিয়েছে।' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাগানের ম্যানেজার প্রসেনজিৎ সরকার, বন দপ্তরের এডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা, আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব সিনহা প্রমুখ।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।