#মাটিগাড়া: পাট শিল্পে পথ দেখাচ্ছেন প্রমিলা দেবী। পিছিয়ে পড়া মেয়ে, মহিলাদের হাতের কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন প্রমিলা দিদি। হ্যাঁ গ্রামে তাঁকে প্রমীলা দিদি বলেই চেনে সবাই। মাটিগাড়া পাথরঘাটা ব্লকের ফুলবাড়ি পতন জোত এলাকায় গত ১ মাস ধরে পাটের নানা সামগ্রী তৈরির কাজ শেখাচ্ছেন তিনি। মেয়েরা স্বনির্ভর হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উঠুক এটাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যভেদ করতেই তিনি গ্রামের গাছ তলাতেই শুরু করে দিয়েছেন পাটের তৈরি নানা জিনিস বানানোর শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচি।
এই এলাকা চা বাগান সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় মেয়েরা চাইলেও অনেক দূর পড়াশোনা করতে পারে না। পড়াশোনার সেই সুবিধাটুকু নিতে ব্যর্থ তাঁরা।এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫-১৬ জন মেয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আরও মেয়েদের খুঁজে নিয়ে আসতে হবে বলে জানান প্রমিলা দেবী। তাই গ্রামে গিয়ে সচেতন করতে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসেন ওই মহিলা। যারা বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেনি, যাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাদের নিয়ে বটগাছের তলায় হাতের কাজ শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রমিলা দেবী।
আরও পড়ুন: তন্ত্র সাধনার বিশেষ রাত, কৌশিকী অমাবস্যায় হাজার হাজার কুণ্ড জ্বলবে তারাপীঠে
ঠিকানা: ফুলবাড়ী পতন জোত , মাটিগাড়া পাথরঘাটা।।।
Google location:
বহুদিন ধরে এই কাজ করতে করতে প্রমীলা দেবীর এটা মনে হয়েছে যে যেসব মহিলারা ফেল করে যাচ্ছেন, পিছিয়ে পড়ছেন, তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাদের স্বনির্ভর হওয়াটা খুব জরুরী। তাই তাদের এই পদক্ষেপ গ্রামে গ্রামে গিয়ে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের একজোট করে তাদেরকে স্বনির্ভর করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় এর আগেও বহু গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারা এই কাজ করেছেন। দার্জিলিং ম্যারি ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল সেন্টার নামে তাদের একটি সংস্থা শিলিগুড়ির বহু গ্রামে এই কাজ করে আসছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙতেই জেরা শুরু, ঘুরবে তদন্তের মোড়! আজ ফের পার্থ-অর্পিতাকে আদালতে পেশ
এর আগেও প্রচুর হাতের তৈরি করা জিনিস বাজারে বিক্রি করে অনেক অর্থ উপার্জন করেছে তারা। এবার পাটের তৈরি জিনিস বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা। পাটের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী গাছ তলায় বসেই মেয়েদের বানানো শেখান তিনি। শুধু তাই না এখন যেমন তারা শিখছেন শিখিয়ে নিয়ে গেলেই তারপর তাদের তৈরি সেই জিনিসগুলো বিক্রি হয় বিদেশে নানান জায়গায়। প্রমিলাদি এটাও জানিয়েছেন যে তাদের এই জিনিসগুলি যখন শেখানো হয়ে যাবে, তখন সেই মহিলারাই অন্য আরও গ্রামে গিয়ে শেখাতে পারবে। এর ফলে মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ অনেকটাই প্রসারিতহবে বলে মনে করছেন তিনি।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri