শিলিগুড়ি : সাবধান ! ফের শিলিগুড়িতে সেই পুরনো অপরাধের ঘটনা ঘটছে আরও এক বার।এর আগেও দেখা গিয়েছিল সোনা পরিষ্কারের নামে বাড়িতে এসে আসল সোনার অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আবারও শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকায় ঘটল একই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রূপা সাহা নামে এক মহিলার বাড়িতে দুজন ব্যক্তি যায় এবং তারা খুব অল্প টাকার বিনিময়ে সোনা, রূপার অলঙ্কার-সহ পিতলের সামগ্রী পরিষ্কার করে দেয় বলে জানায়। তাদের সেই কথা মতো রূপা সাহা প্রথমে পিতল ও পায়ের তোড়া পরিষ্কার করার জন্য দেয়। তারা সেগুলো পরিষ্কারও করে দেয়। এর পর তারা সোনার অলঙ্কার পরিষ্কার করার দাবি করে। সেইমতো ওই মহিলা গলার চেন, হাতের আংটি খুলে দেন।
আরও পড়ুন : ৬ পা নিয়ে দাসপুরে জন্ম আজব-দর্শন বাছুরের, অলৌকিকত্বের আশায় জমছে ভিড়
অভিযোগ, অলঙ্কার খুলে দিতেই সেগুলো পরিষ্কারের নাম করে প্লাস্টিকের ঠোঙার মধ্যে পাথর ঢুকিয়ে অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয়। তারা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যেতেই সন্দেহ হয় মহিলার। মহিলা ঠোঙা খুলতেই দেখেন ভিতরে পাথর ঢোকানো। এরপরই চিৎকার শুরু করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন : ৬ পা নিয়ে দাসপুরে জন্ম আজব-দর্শন বাছুরের, অলৌকিকত্বের আশায় জমছে ভিড়এদিন গৃহবধূ রূপা সাহা জানান, দুজন লোক বাড়িতে আসে। বাসনপত্র পরিষ্কার করার কথা বলে তারা। অভিযোগ, প্রথমে পিতলের বাসন দিলে তা পাউডারের মতো কিছু দিয়ে পরিষ্কার করে দেয়।এর পর সোনার চেন, লকেট ও আংটি পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর একটি কৌটোর মধ্যে ঢোকায় সেগুলি।১০ মিনিট পর খুলতে বলে।তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কৌটো খুলতে দেখি সোনার অলঙ্কার নেই।কিছু পাথর পড়ে রয়েছে।ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি বাবলু পাল বলেন, "পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।" রূপা সাহা বলেন, "আমার চোখের সামনে সব করল। কিন্তু আমি ধরতেই পারলাম না কখন তারা সোনা সরিয়ে নিয়েছে। সোনা পরিষ্কারের নাম করে লক্ষাধিক টাকার সোনা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। "
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।