#চেন্নাই: পোয়েজ গার্ডেনের বিলাসবহুল ঘরে রাত কাটানো আপাতত অতীত। বেঙ্গালেরু সেন্ট্রাল জেলের সেলই এখন শশীকলা নটরাজনের স্থায়ী আস্তানা। দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়ে ইতিমধ্যেই চার বছরের জেল হয়েছে এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা নটরাজনের। পাশাপাশি ১০ কোটি টাকার জরিমানার নির্দেশও দিয়েছে আদালত ৷ কিন্তু এই জরিমানা দিতে না পারলে বাড়তি ১৩ মাসে জেলে কাটাতে হতে পারে চিন্নাম্মাকে ৷ বেঙ্গালুরু জেলের এক আধিকারিক এই কথা জানিয়েছেন ৷
শশীকলার স্বপ্নভঙ্গ করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আগামী দশ বছর ভোটেও দাঁড়াতে পারবেন না তিনি।
২১ বছর আগের মামলা। তাই শশিকলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে পনীরসেলভমের সঙ্গে দড়ি টানাটানির মধ্যেই এল চরম দুঃসংবাদ। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় শশিকলাকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম নির্দেশ
- শশিকলাকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত
- আগামী ১০ বছর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি
- দিতে হবে ১০ কোটি টাকা জরিমানা
- এর আগে ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন শশিকলা
- এখন ৩ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাঁকে
১৯৯৬ সালে জয়ললিতা, শশিকলা-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে ৬৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার হিসাব বর্হিভূত সম্পত্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়েই মামলা দায়ের করেন তৎকালীন জনতা দল নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
জেল সুপার কৃষ্ণ কুমার জানান, তিন দোষী-শশীকলা, ইল্লাবারাসি ও সুধাকরণকে আর পাঁচজন জেলের আসামীর মতোই রাখা হচ্ছে।
আপাতত কিছুদিন বেঙ্গালেরু সেন্ট্রাল জেলই শশীকলার ঠিকানা। পরিস্থিতি দেখে এখনই সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছে না শশীকলা শিবির। এখনই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। এব্যাপারে একমত আইন বিশেষজ্ঞরা।