#নয়াদিল্লি: প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যার দশ দিন পর সোমবার খুলল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। তবে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। পড়ুয়া থেকে অভিভাবক। সকলের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। ছাত্রছাত্রীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিলে তাদের অন্য স্কুলে ভর্তি করার চিন্তাভাবনা করছেন অভিভাবকরা। আজ প্রদ্যুম্ন হত্যায় মূল অভিযুক্ত অশোককে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
প্রশাসনের নজরদারি। কড়া নিরাপত্তা স্কুল চত্বরে। তবুও আতঙ্ক কাটছে না ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যার পর কেটে গেছে দশদিন। সোমবার খুলেছে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এদিন স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এখনও স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। অনেকেই আবার ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
সামনে বোর্ড পরীক্ষা। তাই আতঙ্ককে সঙ্গী করে স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানাল এক ছাত্র। আতঙ্ক চেপে বসেছে পড়ুয়াদের মনে।
স্কুল খোলায় আশঙ্কায় রয়েছেন নিহত ছাত্রের বাবা বরুণ ঠাকুর। খুনের সঙ্গে জড়িত তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। সিবিআই তদন্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলায় ক্ষুব্ধ তিনি। শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এই হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেন। ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের শৌচাগার থেকে প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের নলিকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।