#পুরুলিয়া : পুরুলিয়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা হল রঘুনাথপুর। এই রঘুনাথপুর মহকুমায় জিডি ল্যান্ড স্কুল সংলগ্ন মাঠ হল এটিম গ্রাউন্ড। রঘুনাথপুরের ঐতিহ্য বহন করে এই এটিম গ্রাউন্ড। দীর্ঘ প্রায় দু'বছর ধরে অর্থাৎ করোনা সময়কাল থেকে এই মাঠটিকে দৈনিক হাট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে এই হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০০-রও বেশি ব্যবসায়ীরা এসে ব্যবসা করেন। করোনা কলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে রঘুনাথপুর পৌরসভা এটিম গ্রাউন্ডকে দৈনিক হাট হিসাবে ঘোষনা করেছিল।
সে সময় পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দৈনিক হাট হিসাবে এটিম গ্রাউন্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়া থেকে সাধারণ নাগরিকেরা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং যে সকল নাগরিকেরা শরীরচর্চার জন্য এটিম গ্রাউন্ডে আসতেন তারাও শরীর চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পদার্পণের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
অবিলম্বে এই হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবি জানানো হয়েছে রঘুনাথপুর পৌরসভা চেয়ারম্যান তারিণি বাউরির কাছে। এ বিষয়ে রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তারিণি বাউরী জানান, এই মুহূর্তে হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার মত যথাযথ পরিকাঠামো নেই। স্কুলের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এটিম গ্রাউন্ডের কিছুটা অংশ স্কুলের জন্য ব্যবহৃত হবে বাকি অংশে হাট থাকবে। এতে সকলের জন্য ভালো হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত সারজুমাতু গ্রামের বাসিন্দারা
চেয়ারম্যানের এহেন সিদ্ধান্তকে সহমত জানিয়েছেন হাটের ব্যবসায়ীরা। এটিম গ্ৰাউন্ডে অবস্থিত দৈনিক হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য ইতিমধ্যে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল পৌর প্রশাসনের কাছে। হাট ও স্কুলের প্লে-গ্রাউন্ড একসঙ্গে রাখার যে সিদ্ধান্ত পৌরসভা গ্রহণ করেছে আগামী দিনে সেটা কতখানি কার্যকর হবে তা সময় বলবে।
Sharmistha Banerjee Bairagiনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purulia