পূর্ব মেদিনীপুর: দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির কালে বাড়তি উপার্জন বা বিকল্প আয়ের উৎস হল রূপনারায়ণ নদের জল। পেশায় মৎস্যজীবী না হয়েও নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে মানুষজন জাল নিয়ে নেমে পড়ে রূপনারায়ণে। ধরে গলদা চিংড়ির মীন। গলদা চিংড়ির মীন ধরে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি উপার্জন হয় মানুষজনের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদ নদী দ্বারা বেষ্টিত। কোলাঘাট থেকে গেঁওখালি পর্যন্ত বিস্তৃত রূপনারায়ণ নদ। এই রূপনারায়ণ নদ ঝড়-বাদল কিংবা বর্ষার সময় ভয়ংকর হয়ে ওঠে। রূপনারায়ণের সর্বগ্রাসী রূপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায় তীরবর্তী অঞ্চলে মানুষজনের। রূপনারায়ণ নদই অসময়ে তীরবর্তী অঞ্চল এর মানুষজনের একমাত্র ভরসার জায়গা হয়ে ওঠে। মৎস্যজীবী না হয়েও অনেক মানুষ যেন সারা বছর এই নদীর মাছ ধরে জীবিকা সংগ্রহ করে। চৈত্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস এই সময়টায় নদীর জলে পাওয়া যায় গলদা চিংড়ির মীন। কোলাঘাট থেকে গেঁওখালি পর্যন্ত রূপনারায়ণ তীরবর্তী অঞ্চলে মানুষজনেরা ত্রিকোণাকার জাল নিয়ে গলদা চিংড়ির মীন সংগ্রহ করতে নামে। বছরের এই সময়টায় প্রতিদিন জোয়ার এরপর ভাটা শুরু হলে নদীতে জাল নিয়ে নামে গলদা চিংড়ির মীন সংগ্রহের জন্য। এতে প্রতিদিন এক একজনের গড়ে বাড়তি উপার্জন হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। কেউবা চাষবাস করেন, কেউবা দোকানদানি সামলায়, কেউ বা ক্ষেত মজুরের কাজ করে, কিন্তু এই সময়টা নদীর জলে বাড়তি উপার্জনের জন্যেই জাল নিয়ে নামে। শুধু বাড়ির পুরুষ মানুষের নয়, বাড়ির মহিলারা ত্রিকোণাকার জাল ঠেলে ঠেলে রূপনারায়ণে গলদা চিংড়ির মীন সংগ্রহ করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolaghat, Purba medinipur