#তমলুক: একটি সর্বভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রামীণ শাখায় অফিসের টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হল গ্রাহকেরা। ম্যানেজারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখায় গ্রাহকেরা। ফলে উত্তেজনা তমলুক থানার রামতারক এলাকায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর কাঁকটিয়া বাজারে অবস্থিত সর্বভারতীয় রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ অফিস থেকে রামতারক হাট এলাকার বল্লুক গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছে একটি গ্রামীণ শাখা উদ্বোধন হয়। স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামীণ শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন শুরু করে। অনেকেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমানো শুরু করে। সম্প্রতি গ্রাহকেরা ম্যানেজারের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট ছিল না। তাই তারা তাদের ব্যাংকের পাশ বই আপডেট করে। গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কে এসে তাঁদের ব্যাঙ্কের বই আপডেট করতেই চক্ষু চড়কগাছ। যা টাকা জমিয়ে ছিলেন সেই টাকা নেই তার থেকে কম টাকা রয়েছে গ্রামীণ শাখায়, আবার কারও কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাহকেরা এসে ওই গ্রামীণ শাখায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ।
তবে কীভাবে এই টাকা খোয়া গেল ডিপোজিট গ্রাহকদের সেই নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এক প্রকার মুখে কুলুপ এঁটেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের গ্রামীণ শাখার এক গ্রাহক জ্যোৎস্না শী বলেন, 'তার স্বামী বেঁচে নেই, ছেলেকে নিয়ে তার বাস। ছেলেদের পড়াশোনার জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্টে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল। বর্তমানে তা মাত্র ১৮০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।' সর্বস্বান্ত হয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আরও এক গ্রাহক সিদ্ধার্থ সিংহের কথায়, 'গ্রামীণ শাখার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। বহু মানুষের টাকা খোয়া গিয়েছে।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tamluk