এগরা: এগরা ১ নম্বর ব্লকের খাদিকুল গ্রামে একে একে ফিরল সারিবদ্ধভাবে মৃতদেহ৷ মৃতদেহ ফিরতেই স্বজন হারানো কান্নায় ভেঙে পড়ল গোটা গ্রাম। এগরার অবৈধ বাজি কারখানা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের৷ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আহতেরা৷ এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে তপ্ত রাজ্য রাজনীতিও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ এবং তাঁর ছেলে ও ভাইপো সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। স্বজন হারানো পরিবারের লোকজন মূল অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ ব্লকের খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানায় মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় আপাত, এনআইএ তদন্তের আর্জি খারিজ করেছে আদালত৷ সিআইডি তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷
অন্যদিকে, এদিনই ময়নাতদন্তের পরে খাদিকুল গ্রামে ফেরে মৃত ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃতদেহ। মৃত আটজনের নাম অম্বিকা মাইতি, মাধবী বাগ, শ্যামশ্রী মাইতি, শক্তিপদ বাগ, কবিতা বাগ, জয়ন্ত জানা, বাপন মাইতি ও মিনতি মাইতি। এই আটজনের মৃতদেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নার রোলে ভরে ওঠে গ্রামের আকাশ বাতাস।
প্রসঙ্গত, অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও খাদিকুল গ্রামের এখনও থমথমে চেহারা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের সময় ঘটনার মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ কারখানাতেই ছিল৷ সেই বিস্ফোরণেই গুরুতর আহত হন তিনি। কিন্তু, বিস্ফোরকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে সীমানা পেরিয়ে ওড়িশা পালিয়ে যায় ভানু৷
বুধবার রাতেই ভানু বাগ ও তাঁর ছেলে ও ভাইপোর নাগাল পান সিআইডির গোয়েন্দারা৷ ওড়িশাতেই তাঁদের আটক করা হয়। তবে গুরুতর আহত ভানু বর্তমানে কটকের রুদ্র নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন৷ তাঁকে পাহারা দিচ্ছেন ওড়িশা পুলিশ৷ একটু সুস্থ হলেই ভানুকে এ রাজ্যে নিয়ে আসা হবে বলে সূত্রের খবর৷
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।